Spoken+Grammar Bundle

জন্মের পর থেকে শিশু মা-বাবার সঙ্গেই ঘুমায়। কিন্তু সারা জীবন তো আর সন্তার মা-বাবার সঙ্গে এক বিছানায় ঘুমানো সম্ভব নয়। এ ব্যাপারে হাদিসের ভাষ্য অনুপাতে সন্তানের বয়স ১০ বছর হলে সেই সন্তানকে পৃথক বিছানায় বা আলাদা করে শুয়ানো আবশ্যক। একসঙ্গে থাকা যাবে না।

যদিও বাবার সঙ্গে ছেলের এবং মায়ের সঙ্গে মেয়ের শোয়ার অবকাশ আছে। তবে এ ক্ষেত্রেও আলাদা থাকার সুযোগ থাকা অবস্থায় এমনটি করা উচিত নয়। আর হাদিসের কিছু বর্ণনায় সাত বছরের কথাও এসেছে।সেই হিসেবে সাত বছর বয়স হলেই বিছানা পৃথক করার ব্যাপারে সতর্ক হওয়া উচিত। তবে সর্বোচ্চ ১০ বছর পর্যন্ত সুযোগ আছে। ১০ বছর হয়ে গেলে বিছানা পৃথক করা ওয়াজিব। সামর্থ্য থাকার পরও তা না করলে গুনাহ হবে।

আমর ইবনু শুয়াইব (রহ.) থেকে পর্যায়ক্রমে তাঁর পিতা ও তার দাদার সূত্রে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসুলুল্লাহ (সা.) ইরশাদ করেছেন, ‘তোমাদের সন্তানদের বয়স সাত বছর হলে তাদের সালাতের জন্য নির্দেশ দাও। যখন তাদের বয়স ১০ বছর হয়ে যাবে, তখন (সালাত আদায় না করলে) এ জন্য তাদের মারবে এবং তাদের ঘুমের বিছানা আলাদা করে দেবে।’ (আবু দাউদ, হাদিস : ৪৯৫)

আবদুল মালিক বিন রাবি বিন সাবরাহ পর্যায়ক্রমে তাঁর পিতা ও দাদার সূত্রে বর্ণনা করেন, রাসুল (সা.) ইরশাদ করেছেন, ‘যখন সন্তানের বয়স সাত বছর হয়, তখন তার বিছানা আলাদা করে দাও।’ (দারা কুতনি, হাদিস : ৮৮৬)
সুতরাং সন্তানের বয়স সাত বছর হলে বিছানা পৃথক করে দেওয়া

 

মূলত এটি অভ্যাসের ওপর নির্ভরশীল। প্রথম প্রথম বাচ্চারা বাবা-মাকে ছেড়ে আলাদা রুমে মোটেও থাকতে চাইবে না। কিন্তু বিভিন্ন কৌশলে তাদেরকে আলাদা রুমে রাখা হলে এতে ধীরে ধীরে তাদের মন থেকে ভয় দূর হয়ে যাবে। এবং নিজেদের মনে আত্মবিশ্বাস সৃষ্টি হবে যা তাদের ব্যক্তিত্ব গঠনে ভূমিকা পালন করবে ইনশাআল্লাহ।

আলাদা না করার ক্ষতিঃ

অজ্ঞতাবশত অনেকেই বাচ্চার প্রতি অতি যত্ন ও মায়া দেখাতে গিয়ে তাদেরকে বুঝমান ও বড় হওয়ার পরেও নিজেদের কাছে রেখে ঘুমায়। এতে প্রকারান্তরে তাদেরই ক্ষতি করা হয়।

কেননা কখনো অসতর্কতাবশত দাম্পত্য জীবনের কোন বিষয় তাদের দৃষ্টিগোচর হলে তাদের মনে কুপ্রভাব পড়ে। আর যেহেতু বাচ্চারা সাধারণত অনুকরণপ্রিয় হয় তাই কখনো বা এটা তাদের আচরণ দ্বারা প্রকাশ হতে শুরু করে।