Article Index

একুশে পদক বাংলাদেশের একটি জাতীয় এবং দ্বিতীয় সর্বোচ্চ বেসামরিক পুরস্কার। বাংলাদেশের বিশিষ্ট ভাষাসৈনিক, ভাষাবিদ, সাহিত্যিক, শিল্পী, শিক্ষাবিদ, গবেষক, সাংবাদিক, অর্থনীতিবিদ, দারিদ্র্য বিমোচনে অবদানকারী, সামাজিক ব্যক্তিত্ব ও প্রতিষ্ঠানকে জাতীয় পর্যায়ে অনন্য অবদানের স্বীকৃতি প্রদানের উদ্দেশ্যে ১৯৭৬ সাল থেকে একুশে পদক প্রদান করা হচ্ছে।  

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মহান একুশে ফেব্রুয়ারি ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উপলক্ষে দেশের ১৯ বিশিষ্ট ব্যক্তি ও ২টি প্রতিষ্ঠানকে ‘একুশে পদক-২০২৩’ প্রদান করেন।

এবার ভাষা আন্দোলন ক্যাটাগরিতে তিনজন এই পদক পেয়েছেন। তাঁরা হলেন

  1. খালেদা মনযুর-ই-খুদা,
  2. বীর মুক্তিযোদ্ধা এ কে এম শামসুল হক (মরণোত্তর) ও
  3.  হাজি মো. মজিবর রহমান।

শিল্পকলার বিভিন্ন শ্রেণিতে আটজন এই পদক পেয়েছেন।

  1. অভিনয়ে পেয়েছেন মাসুদ আলী খান ও শিমূল ইউসুফ,
  2. সংগীতে মনোরঞ্জন ঘোষাল, গাজী আবদুল হাকিম ও ফজল-এ-খোদা (মরণোত্তর),
  3. আবৃত্তিতে জয়ন্ত চট্টোপাধ্যায়,
  4. শিল্পকলায় নওয়াজীশ আলী খান,
  5. চিত্রকলায় কনকচাঁপা চাকমা।

মুক্তিযুদ্ধে- মমতাজ উদ্দীন (মরণোত্তর),

সাংবাদিকতায়- মো. শাহ আলমগীর (মরণোত্তর),

গবেষণায়- মো. আবদুল মজিদ,

শিক্ষায়- অধ্যাপক মযহারুল ইসলাম (মরণোত্তর) ও বাংলাদেশ জাতীয় জাদুঘর,

সমাজসেবায়- বিদ্যানন্দ ফাউন্ডেশন ও মো. সাইদুল হক,

রাজনীতিতে- মঞ্জুরুল ইমাম (মরণোত্তর) ও আকতার উদ্দিন মিয়া (মরণোত্তর) এবং

 ভাষা ও সাহিত্যে- ড. মনিরুজ্জামান একুশে পদক পেয়েছেন।

১৯৫২ সালের ভাষা আন্দোলনের শহীদদের স্মরণে ‘একুশে পদক’ প্রবর্তন করা হয়। পুরস্কার হিসেবে প্রত্যেক বিজয়ীকে স্বর্ণপদক, সম্মাননা সনদ ও নগদ অর্থ দিয়ে পুরস্কৃত করা হয়। সর্বশেষ ২০২০ সালে অর্থের পরিমাণ বাড়িয়ে চার লাখ টাকা করা হয়।

এবারের অনুষ্ঠানে সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ সভাপতিত্ব করেন। মন্ত্রিপরিষদসচিব মো. মাহবুব হোসেন পদক বিতরণ পর্ব সঞ্চালনা ও পদক বিজয়ীদের সাইটেশন পাঠ করেন। সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. আবুল মনসুর স্বাগত বক্তব্য দেন।