Spoken+Grammar Bundle

  গীতিকবি ও গীতিকাব্য

গীতিকবি

গীতিকাব্যের নাম ও প্রকাশকাল

দ্বিজেন্দ্রলাল রায়

আর্যগাথা (১৮৮২),

আষাঢ়ে (১৮৯৯),

ত্রিবেনী (১৯১২)

রজনীকান্ত সেন

বাণী (১৯০২),

কল্যাণী (১৯০৫),

অমৃত (১৯১০),

আনন্দময়ী (১৯১০)

বিহারীলাল চক্রবর্তী

প্রেম প্রবাহিনী (১৮৭০),

বঙ্গসুন্দরী (১৮৭০),

নিসর্গ সন্দর্শন (১৮৭০),

সারদা মঙ্গল (১৮৭৯)

মোজাম্মেল হোসেন

কুসুমাঞ্জলী (১৮৮২),

প্রেমহার (১৮৯৮)

সুরেন্দ্রনাথ মজুমদার

মহিলাকাব্য (১৮৮০),

সবিতা সুদর্শন (১৮৭০),

বর্ষবর্তন (১৮৭২)

দ্বিজেন্দ্রনাথ ঠাকুর

স্বপ্নপয়ন(১৮৭৩)।

সৈয়দ এমদাদ আলী

ডালি (১৯১২),

হাজেরা (১৯১২)।

স্বর্ণকুমারী

গাথা (১৮৮০),

কবিতা ও গান (১৮৯৫)।

অক্ষয়কুমার বড়াল

প্রদীপ (১৮৮৪),

এষা (১৯১৯)

রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর

ভানুসিংহের পদাবলী

কামিনী রায়

আলো ও ছায়া (১৮৮৯),

মাল্য ও নিমার্ল্য (১৯১৩),

অশোক সঙ্গীত(১৯১৪),

দীপ ও ধুপ (১৯২৯)।

গোবিন্দ চন্দ্র দাস

প্রসূন (১২৯৪),

প্রেম ও ফুল (১২৯৪),

কুমকুম (১২৯৮),

ফুল রেণু (১৩০৩)।

কায়কোবাদ

অশ্রুমালা (১৮৯৫)।

অক্ষয়কুমার বড়াল

প্রদীপ(১৮৮৪),

এষা (১৯১৯)।

 

মহাকবি ও মহাকাব্য

একটি মহাকাব্য রচিত হয় অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ কোনো কাহিনীকে কেন্দ্র করে, দীর্ঘাকার এক ইতিহাসের ওপর নির্ভর করে। যে কাহিনী এবং ইতিহাসকে অত্যন্ত শক্তিশালী এবং সুন্দর ভাষায় প্রকাশ করা হয়।  যিনি মহাকাব্য রচনা করেন, তিনি মহাকবি নামে পরিচিতি পেয়ে থাকেন। দেবতা বা দেবতুল্য নায়কের বৃত্তান্ত নিয়ে বিশেষ রীতিতে রচিত বৃহৎ কাব্য রচনাকে মহাকাব্য নামে অভিহিত করা হয়। মহাকাব্যে প্রাকৃতিক বিবিধ দৃশ্যমালা ও পরিবর্তন বর্ণিত থাকে এবং এতে কমপক্ষে আটটি কিংবা ততোধিক সর্গ বা ভাগ থাকে। যথাঃ রামায়ণ, মহাভারত ইত্যাদি।

মহাকবি

মহাকাব্যের নাম/প্রকাশ/রচনাকাল

মাইকেল মধুসুদন দত্ত

মেঘনাথ বধ কাব্য (১৮৬১)

হেমচন্দ্র বন্দ্যোপাধ্যয়

বৃত্রসংহার (১৮৭৫)

নবীনচন্দ্র সেন

রৈবতক(১৮৭৫), করুক্ষেত্র (১৮৯৩), প্রভাস (১৮৯৬)

কায়কোবাদ

মহাশ্মাশান(১৯০৪)

ইসমাইল হোসেন সিরাজী

স্পেন বিজয় কাব্য(১৯১৪)

প্রাচীন মহাকাব্য (প্রাচীনকাল থেকে ৫ম শতক)

খ্রিস্টপূর্ব ২০শ থেকে ১০ম শতক পর্যন্তঃ 'গিলগামেশ' ও 'এত্রাহ্যাসিস' (মেসোপটেমিয়ার পৌরাণিক কাহিনী); 'এনুমা এলিশ' (বেবিলনের পৌরাণিক কাহিনী)। তন্মধ্যে বেবিলনের মহাকাব্য রচনার সময়কাল সুনির্দিষ্ট করা খুবই দূরূহ ব্যাপার। কেননা এটি হাতে লেখা ছিল এবং পরবর্তীকালে প্রথমবারের মতো ব্যবহার করা হতো। এছাড়াও, পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে পরীক্ষণ এবং বিযোজন করার ফলেও সময়কাল নির্দিষ্ট করাকে ব্যাপকভাবে প্রভাবিত করেছে।

খ্রিস্টপূর্ব ২০শ থেকে ৫ম শতক পর্যন্তঃ হিন্দু পৌরাণিক উপাখ্যান হিসেবে ব্যাস দেব কর্তৃক প্রণীত 'মহাভারত' ও বাল্মিকী মুনি কর্তৃক প্রণীত 'রামায়ণ'।

খ্রিস্টপূর্ব ৮ম থেকে ৬ষ্ঠ শতক পর্যন্তঃ গ্রীক পৌরাণিক উপাখ্যান হিসেবে হোমার রচিত 'ইলিয়াড' এবং 'ওডিসি'; হেসিওড রচিত 'ওয়ার্কস্‌ এন্ড ডেজ', 'থিওগোনি', 'ক্যাটালগ আব ওম্যান' এবং 'দ্য শিল্ড অব হেরাক্লেস'।

খ্রিস্টপূর্ব ৩য় শতকঃ এপোলো অব রোডেস প্রণীত 'আর্গোনটিকা'।

খ্রিস্টপূর্ব ২য় শতকঃ কুইনটাস এনিয়াস প্রণীত 'অ্যানালস্‌' (রোমের ইতিহাস সংক্রান্ত)।

খ্রিস্টপূর্ব ১ম শতকঃ ভার্জিল প্রণীত 'এনিড' (ল্যাটিন পৌরাণিক কাহিনী) এবং লুক্রেটিয়াস প্রণীত 'ডি রেরাম নতুরা' (ল্যাটিন সাহিত্য, এপিকুরেন দর্শন সম্পর্কীয়)।

খ্রিস্টাব্দ ১ম শতকঃ অভিড রচিত 'মেটামোরফোসেস' (ল্যাটিন পৌরাণিক কাহিনী); লুকান রচিত ফারসালিয়া ও সিলিয়াস ইটালিকাস রচিত 'পুনিকা' (রোমান ইতিহাস সংক্রান্ত); গাইয়াস ভ্যালেরিয়াস ফ্লাকাস রচিত 'আর্গোনটিকা' ও স্ট্যাটিয়াস রচিত থেবাইড এন্ড এ্যাচিলিড (রোমান কবি ও গ্রিক পৌরাণিক কাহিনী)।

খ্রিস্টাব্দ ২য় শতকঃ অশ্ব ঘোষ প্রণীত 'বুদ্ধকার্তিকা' এবং 'সৌন্দরানান্দকাব্য' (ভারতীয় মহাকাব্য)।

খ্রিস্টাব্দ ২য় থেকে ৫ম শতকঃ তামিল সাহিত্যের উল্লেখযোগ্য ৫টি মহাকাব্য - প্রিন্স ইলানগো এডিগাল রচিত 'সিলাপ্পাদিক্রম', সিথালাই সাথানর রচিত 'মনিমেকালাই', তিরুতাকাকাতেভার রচিত 'সিভাকা সিন্তামণি', জনৈক বৌদ্ধ কবি রচিত 'কুন্দালেকেসি' এবং জনৈক জৈন কবি রচিত 'বলয়াপতি'।

খ্রিস্টাব্দ ৩য় থেকে ৪র্থ শতকঃ কুইন্টাস অব স্মাইরনা রচিত 'পোস্থোমেরিকা'।

খ্রিস্টাব্দ ৪র্থ শতকঃ জুভেনকাস রচিত 'ইভএ্যাঞ্জেলিওরামলিরি'; মহাকবি কালিদাস রচিত ভারতীয় মহাকাব্যদ্বয় 'কুমারসম্ভব' ও 'রঘুবংশ'; ক্লদিয়ান রচিত 'ডি রাপ্টু প্রোসারপিনে'।

খ্রিস্টাব্দ ৫ম শতকঃ অজ্ঞাতনামা ব্যক্তি কর্তৃক 'আর্গোনটিকা অরফিকা', নোনাস কর্তৃক 'ডাইওনিসিয়াকা'।

প্রাচীন মহাকাব্য (৫ম থেকে ১৫শ শতক)

৭ম শতকঃ 'তায়েন বো কোয়াইলেঞ্জ' (প্রাচীন আইরিশ); পাণিনি প্রণীত রামায়ণ ও 'অষ্টদেহী' অনুসরণে সংস্কৃত ভাষায় পরিমার্জিত 'ভট্টিকাব্য'; মহাভারত অনুসরণে সংস্কৃত ভাষায় ভারবি রচিত 'কীর্তাঅর্জুনীয়া' ও মাঘ রচিত 'শিশুপালবধম্‌'।

৮ম থেকে ১৯ম শতকঃ 'বিউওল্ফ' এবং 'ওয়ালদেয়ার' (প্রাচীন ইংরেজি); ডেভিড অব সাসুন (আর্মেনিয়ান)।

৯ম শতকঃ সংস্কৃত ভাষায় রচিত 'ভাগবত পুরাণ'।

১০ম শতকঃ 'শাহনামা' (ফার্সি সাহিত্য); সেন্ট গলের একেহার্ড প্রণীত 'ওয়াল্থারিয়াস' (ল্যাটিন)।

১১শ শতকঃ 'তাঘরিবাত বনি হিলাল' (আরবী সাহিত্য); জনৈক জার্মান লেখক রচিত 'রুডলিয়েব' (ল্যাটিন); বাইজেনটাইন সাম্রাজ্যের বীরকে ঘিরে 'ডাইজেনিস একরিটাস' (গ্রীক); 'এপিক অব কিং গেসার' (তীব্বতীয় ভাষায়)।

১২শ শতকঃ 'চ্যানসন ডি রোল্যান্ড' (প্রাচীন ফরাসী); শোটা রুসট্যাভেলি প্রণীত 'দ্য নাইট ইন দ্য প্যান্থার স্কীন'; ওয়াল্টার অব চাটিলন রচিত 'আলেক্সান্দ্রিস' (ল্যাটিন); জোসেফ অব এক্সটার প্রণীত 'ডি বেলো ট্রোইয়ানো' ও 'দ্য লস্ট এন্টিওচিজ'; কারম্যান ডি প্রোডিসিওন গুইনোনিস (ল্যাটিন); জন অব হভিলে প্রণীত 'আর্কিট্রেনিয়াস' (ল্যাটিন বিদ্রুপাত্মক কাব্য); পিটার অব এবোলি প্রণীত 'লিবার এ্যাড অনরেম অগাস্টি'; বাইলিনাস প্রণীত 'দ্য টেল অব ইগোর'স ক্যাম্পেইন' (১১শ-১৯শ শতক)।

১৩শ শতকঃ 'নিবেলানজেনলাইড' (জার্মান ভাষা); ওলফ্রাম ভন ইসেনব্যাচ প্রণীত 'পার্জিভাল' (জার্মান ভাষা); লায়ামন প্রণীত 'ব্রুট'; অকসিটান ভাষায় রচিত 'চ্যানসন ডি লা ক্রোইসেড আলিবিজিওইস'; 'অন্তরা ইবনে সাদ্দাদ' ও 'সিরাত আল-জহীর বাইবারস' (আরবী ভাষা); 'সান্দিয়েতা কেইতা'; 'এল ক্যান্টার ডি মাইও সিড' (প্রাচীন স্পেনীশ); জোহানেস ডি গারল্যাডিয়া প্রণীত 'ডি ট্রামফিস একক্লেসিয়ে' (ল্যাটিন); উইলিয়াম অব রেনেস প্রণীত 'গেস্টা রেগাম ব্রিটানিয়ে' (ল্যাটিন); ই সিয়াং-হাইও প্রণীত 'জিওয়াং আংগি (কোরিয়ান)

১৪শ শতকঃ জন গাউয়ার রচিত 'কনফেসিও অ্যাম্যানটিস'; জনৈক পাদ্রী রচিত 'কার্সর মান্ডি'; দান্তে আলিগিয়েরি রচিত 'ডিভিনা কমেডিয়া' বা দ্য ডিভাইন কমেডি (ইতালীয় ভাষায়); পেট্রাখ রচিত 'আফ্রিকা'; জাপানীদের যুদ্ধের পৌরাণিক কাহিনীকে ঘিরে রচিত 'দ্য টেল অব দ্য হিয়েকি'।

১৫শ শতকঃ অ্যালিটারেটিভ মোর্তে আর্থার; ম্যাটিও মারিয়া বোয়ার্দো রচিত অরল্যান্ডো ইনামোরাতো (১৪৯৫); স্যামুয়েল-বুখ; ম্লোখিম-বুখ; বুক অব ডিডি কোরকুট।

(সূত্র: উইকিপিডিয়াসহ অন্যান্য অনলাইন মাধ্যম হতে)