মোহাম্মদ আবদুল্লাহ

প্রমাণ কর যে, √২ অমূলদ সংখ্যাঃ-


উক্ত সংখ্যাটি অমূলদ সংখ্যা কিনা তা প্রমাণ করার জন্য প্রথমেই আমাদের মূলদ সংখ্যা এবং অমূলদ সংখ্যা সম্পর্কে জানা উচিত।
মূলদ সংখ্যা:-  ধ এবং ন দুটি পূর্ণ সংখ্যা এবং ন≠০ হলে ধ/ন আকারের সংখ্যাকে মূলদ সংখ্যা বলা হয়। যেমন, ৫/২=২.৫, ৬/৩=৩.০, ৩/১=৩ সংখ্যাগুলো মূলদ সংখ্যা। উদাহরণ থেকে দেখা যাচ্ছে যে, মূলদ সংখ্যাকে দুটি পূর্ণ সংখ্যার অনুপাত আকারে প্রকাশ করা যায়।
সকল পূর্নসংখ্যা,  সসীম দশমিক ভগ্নাংশ, অসীম আবৃত্ত দশমিক ভগ্নাংশ হচ্ছে মূলদ সংখ্যা।
অমূলদ সংখ্যা:-  যে সংখ্যাকে ধ/ন আকারে প্রকাশ করা যায় না, যেখানে, ধ এবং ন দুটি পূর্ণ সংখ্যা এবং ন≠০, সে সব সংখ্যাকে অমূলদ সংখ্যা বলা হয়। পূর্ণবর্গ নয় এরুপ যে কোন সংখ্যার বর্গমূল একটি অমূলদ সংখ্যা। যেমন, √২, √৩,√৫ সংখ্যাগুলোকে দুটি পূর্ণ সংখ্যার অনুপাত আকারে প্রকাশ করা যায় না।


এবার, মূল আলোচনায় আসা যাক, √২ অমূলদ সংখ্যা প্রমাণ করার জন্য সংজ্ঞানুসারে আমাদের দুটি শর্ত পূরণ করতে হবে।
 ১)   √২ পূর্ণ সংখ্যা নয়। [ কারণ, যে কোন পূর্ণ সংখ্যা মূলদ সংখ্যা]
 ২)     সংখ্যাটিকে দুটি পূর্ণসংখ্যার অনুপাত আকারে প্রকাশ করা যাবে না।


১) আমরা জানি,
   ১^২=১, ২^২=৪, (√২)^২=২
দেখা যাচ্ছে যে, ১^২<(√২)^২<২^২
         বা, ১<√২<২
√২,  ১ অপেক্ষা বড় এবং ২ অপেক্ষা ছোট। আবার, ১ এবং ২ এর মাঝে কোন পূর্ণ সংখ্যা নেই। সুতরাং, √২ পূর্ণ সংখ্যা নয়। এক্ষেত্রে, আমরা বলতে পারি, সংখ্যাটি মূলদ সংখ্যা নয়। কিন্তু, সংখ্যাটিকে দুটি পূর্ণসংখ্যার অনুপাত আকারে প্রকাশ করা গেলে সংখ্যাটি মূলদ সংখ্যা হয়ে যাবে। এখন, আমাদের দেখাতে হবে যে, সংখ্যাটিকে দুটি পূর্ণসংখ্যার অনুপাত আকারে প্রকাশ করা যাবে না।
২) মনে করি, √২ মূলদ সংখ্যা
ধরি, √২=ধ/ন
    (√২)^২=(ধ/ন)^২
       ২=ধ^২/ন^২
       ২ন=ধ^২/ন
স্পষ্টত: ২ন পূর্ণসংখ্যা কিন্তু,ধ^২/ন, পূর্ণসংখ্যা নয়, কারণ, ধ ও ন স্বাভাবিক সংখ্যা ও এরা পরস্পর সহমৌলিক এবং ন>১. ২ন এবং ধ^২/ন সমান হতে পারে না, অর্থাৎ ২ন ≠ ধ^২/ন।
√২এর মান আকারের কোনো সংখ্যা হতে পারে না। অর্থাৎ, √২≠ধ/ন। সুতরাং, √২ সংখ্যাটিকে দুটি পূর্ণসংখ্যার অনুপাত আকারে প্রকাশ করা যায় নি।

√২ একটি অমূলদ সংখ্যা।

নোট:-

সহমৌলিক সংখ্যা:-  সহমৌলিক সংখ্যা হচ্ছে এমন দুইটি ধনাত্নক পূর্ণ সংখ্যা যাদের মধ্যে ১ ব্যতীত অন্য কোনো সাধারণ উৎপাদক নেই।

যেহেতু, √২ পূর্ণ সংখ্যা নয়, সেহেতু, সহমৌলিক সংখ্যা না নিলে সংখ্যাটি পূর্ণ সংখ্যা হতে পারে।

আবার, ন>১ না নিলে ও সংখ্যাটি পূর্ণ সংখ্যা হতে পারে। যেহেতু, আমরা প্রথমেই দেখছি যে, √২ পূর্ণ সংখ্যা নয়।

 

বর্গের সূত্রাবলী
(a+b)2 = (a-b)2 + 4ab

(a-b)2 = (a+b)2 - 4ab

a2 + b2 = 1/2{(a+b)2 + (a-b)2}

(a+b+c)2 = a2+b2+c2 +2ab+2bc+2ca

(a-b-c)2 = a2+b2+c2 -2ab+2bc-2ca

a2+b2+c2 = (a+b+c)2 - 2(ab+bc+ca)

জ্যামিতি গণিতের একটি শাখা যেখানে আকার ও আকৃতি এবং এতদসম্পর্কিত বিভিন্ন আঙ্গিকের পারস্পরিক সম্পর্ক নিয়ে গবেষণা করা হয়। জ্যামিতিকে স্থান বা জগতের বিজ্ঞান হিসেবে গণ্য করা যায়। এখানে জগত বলতে ত্রিমাত্রিক জগতকে বুঝানো হয়েছে যা দৈর্ঘ্য, প্রস্থ ও উচ্চতা বরাবর অসীম পর্যন্ত বিস্তৃত।

Geometry এর প্রতিশব্দ হলো জ্যামিতি। গ্রিক শব্দ geo এর ইংরেজি প্রতিশব্দ earth যার বাংলা অর্থ ভূমি এবং আরেকটি গ্রিক শব্দ metron এর ইংরেজি প্রতিশব্দ measurement যার বাংলা অর্থ পরিমাপ। এই দুইটি ভিন্ন শব্দ একত্রিত হয়ে geometry শব্দের উৎপত্তি; যার অর্থ দাঁড়ায় ভূমির পরিমাপ। এ থেকে বুঝা যায় যে, প্রাচীন গ্রিসবাসীরা ভূমির পরিমাপ করতে জ্যামিতি ব্যবহার করতেন।

জ্যামিতির মৌলিক উপাদানগুলোর মধ্যে বিন্দু, রেখা, সমতল, কোণ, বক্ররেখা, তল (সমতল বা বক্রতল) এবং ঘনবস্তু অন্তর্ভুক্ত।

জ্যামিতিক সকল সংজ্ঞা

সূক্ষ্মকোণ (Acute angle) : এক সমকোণ (90) অপেক্ষা ছোট কোণকে সূক্ষকোণ বলে।

সমকোণ (Right angle) : একটি সরল রেখার উপর অন্য একটি লম্ব টানলে এবং লম্বের দু’পাশে অবস্থিত ভূমি সংলগ্ন কোণ দুটি সমান হলে, প্রতিটি কোণকে সমকোণ বলে। এক সমকোণ=90

স্থূলকোণ (Obtuse angle) : এক সমকোণ অপেক্ষা বড় বিন্তু দুই সমকোণ অপেক্ষা ছোট কোণকে সথূলকোণ বলে।