Print
Hits: 10268

  সাঈদ সরকার | নভেম্বর ১৯, ২০১৭ বনিক বার্তা

সম্প্রতি সুইজারল্যান্ডভিত্তিক প্রতিষ্ঠান ক্রেডিট সুইস ‘ওয়ার্ল্ড ওয়েলথ রিপোর্ট ২০১৭’ প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে। এ প্রতিবেদন অনুসারে, এখন গোটা বিশ্বের মোট সম্পদের অর্ধেক রয়েছে মাত্র ১ শতাংশ লোকের হাতে। ২০০৮ সালের আর্থিক সংকটের সময় শীর্ষ ১ শতাংশ ধনী লোকের হাতে ছিল ৪২ দশমিক ৫ শতাংশ সম্পদ। ২০১৭ সালে এসে এটা দাঁড়িয়েছে ৫০ দশমিক ১ শতাংশে। অর্থাত্ এক দশকের কম সময়ে বিশ্বের ধনী-গরিবের সম্পদের ব্যবধান বেড়েছে আরো ৮ শতাংশ। বিশ্বের মোট সম্পদের পরিমাণ এখন ২৮০ ট্রিলিয়ন ডলার। সুইসের প্রতিবেদন অনুযায়ী, এখন শীর্ষ ১ শতাংশ ধনীর হাতে রয়েছে ১০৬ ট্রিলিয়ন পাউন্ড (বা ১৪০ ট্রিলিয়ন ডলার), যা যুক্তরাষ্ট্রের অর্থনীতির আকারের চেয়ে প্রায় আট গুণ বেশি। অন্যদিকে বিশ্বের শীর্ষ ১০ শতাংশ ধনীর হাতে রয়েছে বৈশ্বিক সম্পদের ৮৭ দশমিক ৮ শতাংশ। ২০০৮ সালের ধাক্কায় মিলিয়নেয়ার তৈরি কিছুটা স্থিমিত হয়ে পড়লেও পরের বছরগুলোয় তা বেড়েছে। বলা হচ্ছে, বৈষম্য বৃদ্ধিতে অন্যতম ভূমিকা রেখেছে মিলিয়নেয়ার (যাদের সম্পদ ১০ হাজার ডলারের ওপর) এবং আলট্রা-হাই-নেট-ওয়ার্থ ইনডিভিজুয়ালের (যাদের সম্পদ ৩০ মিলিয়ন ডলারে বেশি) সংখ্যা বৃদ্ধি। 

২০০০ সালের পর থেকে বিশ্বে মিলিয়নেয়ারের সংখ্যা ১৭০ শতাংশ বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৩ কোটি ৬০ লাখে। আর আলট্রা-হাই-নেট-ওয়ার্থ ইনডিভিজুয়ালের সংখ্যা পাঁচ গুণ বেড়ে এখন প্রায় ৪৫ হাজার। অন্যদিকে বিশ্বের দরিদ্রতম প্রাপ্তবয়স্ক (যাদের সম্পদ ১০ হাজার ডলারের নিচে) অর্থাত্ ৩৫০ কোটি লোকের হাতে রয়েছে মাত্র ২ দশমিক ৭ শতাংশ সম্পদ বা ১২৮ দশমিক ৭ ট্রিলিয়ন ডলার। সামগ্রিকভাবে এ লোকগুলো বিশ্বের কর্মরত বয়স্ক জনগোষ্ঠীর ৭০ শতাংশ। প্রতিবেদন থেকে একটি বিষয় প্রতীয়মান, যে গতিতে মিলিয়নেয়ার বৃদ্ধি পাচ্ছে, সমান গতিতে ধনী-গরিবের সম্পদবৈষম্যও বাড়ছে। ক্রেডিট সুইসের অনুমান ২০২২ সালের মধ্যে মিলিয়নেয়ারের সংখ্যা বাড়বে ২২ শতাংশ, অর্থাত্ ৩ কোটি ৬০ লাখ থেকে বেড়ে দাঁড়াবে ৪ কোটি ৪০ লাখে। কিন্তু সমস্যা হলো, ১০ হাজার ডলারের নিচে সম্পদ থাকা প্রাপ্তবয়স্কদের সংখ্যা কমবে মাত্র ৪ শতাংশ। এর অর্থ আগামী দিনে সম্পদবৈষম্য আরো বাড়বে। এটি বিশ্বের আর্থসামাজিক পরিস্থিতির জন্য মোটেই সুখবর নয়। ক্রেডিট সুইসের এ প্রতিবেদন থেকে একটি বিষয় স্পষ্ট। আর তা হলো, বর্তমান প্রক্রিয়ায় ধনীর সংখ্যা বাড়ছে, বিদ্যমান ধনীরা আরো ধনী হচ্ছে, আর গরিবদের অবস্থা পড়তির দিকে। এর প্রধান কারণ ধনী-গরিবের মধ্যে সম্পদবৈষম্য কমানোর জন্য যে কঠোর ও যথাযথ পদক্ষেপ নেয়া দরকার, বিশ্বনেতারা তা নিতে পুরোপুরি ব্যর্থতার পরিচয় দিয়ে যাচ্ছেন।

অক্সফামের হেড অব অ্যাডভোকেসি কেটি চক্রবর্তী বলছেন, বৈষম্য বৃদ্ধির অন্যতম প্রধান কারণটি সামনে নিয়ে এসেছে সম্প্রতি আলোড়ন তৈরি করা প্যারাডাইস পেপারস। আর সেটি হলো, ধনী ব্যক্তি ও বহুজাতিক প্রতিষ্ঠানগুলো কর্তৃক কর ফাঁকি দেয়া। সরকারগুলোর উচিত সৃষ্ট চরম বৈষম্য সামাল দিতে কার্যকর পদক্ষেপ নেয়া। এ বৈষম্য বিশ্বজুড়ে অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডে ব্যাঘাত সৃষ্টি করছে, সমাজে বিভক্তি তৈরি করছে এবং যেকোনো সময়ের চেয়ে এখন চরম দরিদ্র ব্যক্তির জন্য নিজের জীবনের উন্নতি ঘটানোকে আরো কঠিন করে তুলছে। ২০১৬ সালে পানামা পেপারস, ২০১৭ সালে প্যারাডাইস পেপারস— উভয় পেপারসে প্রকাশিত হয়েছে ট্যাক্স-হেভেন বা করস্বর্গে অর্থ রাখা বা বিনিয়োগ করা ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের নাম। করস্বর্গ হলো এমন দেশ বা স্থান, যেখানকার কর অন্যান্য জায়গার তুলনায় কম বা শূন্য। করস্বর্গে বিদেশী ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানকে ন্যূনতম কর দায় বহন করতে হয়, সেখানকার রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক পরিবেশ স্থিতিশীল এবং এখান থেকে বিদেশী কর কর্তৃপক্ষকে খুব কম অথবা একেবারে কোনো তথ্য দেয়া হয় না। এসব কারণে করস্বর্গ ধনী ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের কাছে জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। তারা ছলে-বলে-কৌশলে নিজ সম্পদের একটা অংশ এখানে বিনিয়োগ করছে। এ শিল্প অবশ্য নিজেদের দাবি করে অফশোর ফিন্যান্সিয়াল সেন্টার (ওএফসি) হিসেবে। করস্বর্গগুলোর মধ্যে যেমন ছোট ছোট দ্বীপ রয়েছে, তেমনি রয়েছে বড় রাষ্ট্রও। করস্বর্গে বিনিয়োগ বেআইনি নয়, তবে বিতর্কিত। আগে সুইস ব্যাংকগুলোয় ধনীরা অর্থ লুকিয়ে রাখতেন। কিন্তু এ ব্যাংকগুলোর ওপর কড়াকড়ি আরোপের কারণে এখন করস্বর্গগুলো জনপ্রিয় হয়ে উঠছে। এর আরেকটি হতে পারে, যতই ব্যবস্থা নেয়া হোক না কেন ধনীরা নিজেদের সম্পদ লুকিয়ে রাখার জন্য একটা না একটা ব্যবস্থা খুঁজে নেবেনই। ধনীরা নিজেদের ধন-সম্পদ লুকানোর অন্যতম পন্থা হিসেবে করস্বর্গে বিনিয়োগ করছেন, এর পেছনে আরেক বড় কারণ এখানকার কর ব্যবস্থা অনেক বেশি সরল-সোজা। আজ পর্যন্ত করস্বর্গে প্রায় ৩২ ট্রিলিয়ন ডলার বিনিয়োগ করা হয়েছে। এ শিল্প গড়ে উঠেছে আশির দশক থেকে। পানামা পেপারসে নামের তালিকা আলোড়ন তৈরি করলেও প্যারাডাইস পেপারস মাথা ঘুরিয়ে দিয়েছে। সব পেশার মানুষের নাম এসেছে এখানে। বর্তমান-সাবেক রাষ্ট্রপ্রধান, সরকারি কর্মকর্তা, রাজনীতিবিদ, অভিনেতা, খেলোয়াড়, নামকরা বহুজাতিক প্রতিষ্ঠান— কে নেই! মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প, যুক্তরাজ্যের রানী দ্বিতীয় এলিজাবেথ, কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডোর নাম এসেছে। উবার, অ্যাপল, নাইকির সঙ্গে নাম এসেছে আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের নামও। বাংলাদেশেরও কিছু ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের নাম রয়েছে বলে খবর মিলেছে। ক্যালিফোর্নিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতির সহকারী অধ্যাপক গ্যাব্রিয়েল জুকম্যান এ কর ফাঁকিকে বলছেন চুরি। তিনি মনে করেন, কর ফাঁকির এ সংস্কৃতি বিশ্বে ধনী-গরিবের সম্পদবৈষম্য বাড়িয়ে তুলছে। তার মতে, একটি দেশ নিজ পছন্দ অনুযায়ী কর ব্যবস্থা গ্রহণ করতেই পারে। কিন্তু নেদারল্যান্ডস যদি বহুজাতিক কোম্পানিগুলোর জন্য কর ছাড় দেয় কিংবা সুইজারল্যান্ড যদি নিজ অর্থভাণ্ডারে দুর্নীতিবাজ অভিজাতদের সম্পদ লুকিয়ে রাখতে চায়, তবে তারা অন্য দেশের রাজস্ব চুরি করছে। এমনকি আমরা হেরে গেলেও এ দেশগুলো কিন্তু হারবে না।

আমাদের দেশ থেকে ফাঁকি দেয়ার জন্য তাদের দেশে যে বিনিয়োগ করা হচ্ছে, সেখান থেকে প্রাপ্ত কর রাজস্ব দিয়েই তারা টিকে থাকবে। এ প্রসঙ্গে আয়ারল্যান্ডের কথা উদাহরণ হিসেবে টানা যেতে পারে। ৩০ বছর আগে যখন দেশটির করপোরেট ট্যাক্স ছিল ৫০ শতাংশ, তখন সামগ্রিকভাবে জাতীয় আয়ের অংশ হিসেবে যুক্তরাষ্ট্র কিংবা ইইউর তুলনায় কোম্পানিগুলোর কাছ থেকে কম রাজস্ব পেত। কিন্তু নব্বইয়ের দশকে যখন দেশটি করহার কমিয়ে ১২ দশমিক ৫ শতাংশ করল, তখন তারা উচ্চকরের দেশগুলোর তুলনায় অনেক বেশি রাজস্ব আয় করতে শুরু করল। তবে কি নিম্ন করহার স্থানীয় কার্যক্রম, কর্মসংস্থান ও প্রবৃদ্ধি বৃদ্ধি করেছে? মোটেই না। বরং ডাবলিন বা কর্কে ঠাঁই নেয়া বহুজাতিক প্রতিষ্ঠানের কল্পিত মুনাফা থেকে এ অতিরিক্ত রাজস্ব আসছে। এ মুনাফা অন্য দেশে শ্রমিকরা তৈরি করছেন। রাজস্ব বৃদ্ধি পাওয়ায় আয়ারল্যান্ড সড়ক ও হাসপাতালের ওপর আরো বেশি করে ব্যয় করতে শুরু করে, যখন অন্য দেশ রাজস্ব হারানোয় সেটি করতে পারছে না। এ চুরির ন্যায্যতা দেয়ার জন্য বিভিন্ন যুক্তি দেখানো যেতে পারে, কিন্তু নৈতিকতার যুক্তির কাছে তা ভঙ্গুর। এটা বোঝা সহজ যে, কেন করস্বর্গ রমরমিয়ে চলছে। নিজ অর্থনীতি অনুযায়ী এখানে আসা বিপুল পরিমাণ মুনাফার ওপর কিছু কর আরোপ করলেই বিপুল পরিমাণ অর্থ আদায় সম্ভব। যতক্ষণ না এদের ওপর অবরোধ আরোপ করা হবে ততক্ষণ তারা এই আকর্ষণীয় ব্যবসা চালিয়ে যাবে। কিন্তু দুর্ভাগ্য হলো, এমন পদক্ষেপ নেয়ার জন্য বিশ্বের সরকারগুলো এখনো কোনো প্রতিজ্ঞা করেনি। তাই মুনাফা পাচারের এই কৃত্রিম পদ্ধতি প্রতি বছর বাড়ছে। আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ দিক হলো, বিভিন্ন দেশ থেকে পাচারকৃত অর্থের বৃহদাংশ যাচ্ছে এসব করস্বর্গে। কারণ এখানে অর্থের উত্স সম্পর্কে কোনো প্রশ্ন তোলা হয় না। তুলবেই বা কেন, এ বিনিয়োগ থেকে যে তারা নিজেরা বেশ ভালো রকম লাভবান হচ্ছে! উন্নয়নশীল দেশ থেকে সবচেয়ে বেশি অর্থ বাইরে পাচার হচ্ছে। বাংলাদেশের কথাই ধরুন। চলতি বছরের মে মাসে ওয়াশিংটনভিত্তিক গবেষণা প্রতিষ্ঠান গ্লোবাল ফিন্যান্সিয়াল ইন্টেগ্রিটি (জিএফআই) এক প্রতিবেদনে বলছে, শুধু ২০১৪ সালে বাংলাদেশ থেকে প্রায় ৯১১ কোটি ডলার পাচার হয়েছে, টাকার অঙ্কে প্রকাশ করলে যা দাঁড়ায় প্রায় ৭৩ হাজার কোটি টাকা। জিএফআইয়ের তথ্যানুসারে ২০০৫ থেকে ২০১৪ সাল পর্যন্ত বাংলাদেশ থেকে পাচার হয়েছে প্রায় ৭ হাজার ৫৮৫ কোটি ডলার বা ৬ লাখ ৬ হাজার ৮৬৮ কোটি টাকা। চিন্তা করে দেখুন, এ বিশাল অর্থ যদি বাংলাদেশেই থাকত তাহলে কি উপকারটাই না হতো। মূল প্রতিবেদনে ১৪৯টি দেশের অবৈধ অর্থ প্রবাহের তথ্য দেয়া হয়েছে। বলা হয়েছে, সারা বিশ্বে যে পরিমাণ অর্থ পাচার হয়, তার ২৪ শতাংশই হয় উন্নয়নশীল দেশ থেকে। আর প্রতি বছরই অর্থ পাচারের হার ধারাবাহিকভাবে বাড়ছে। প্রতিবেদন অনুযায়ী, কেবল ২০১৪ সালে উন্নয়নশীল ও উদীয়মান অর্থনীতির দেশ থেকে প্রায় ১ ট্রিলিয়ন ডলার পাচার হয়েছে। মূলত আর্থিক খাতে স্বচ্ছতার অভাবেই অর্থ পাচার বাড়ছে। অফশোর করস্বর্গে ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের বিনিয়োগ বাড়ছে। এটি একদিকে বিশ্বের জটিল কর ব্যবস্থার নেতিবাচক দিক তুলে ধরছে, অন্যদিকে গরিবরা নিজেদের হক থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। করস্বর্গগুলোর জনগণ লাভবান হচ্ছে, কিন্তু যেসব দেশ থেকে রাজস্ব ফাঁকি দিয়ে এখানে আনা হচ্ছে, সে দেশগুলোর সাধারণ জনগণের অবস্থাটা কী দাঁড়াচ্ছে? যেহেতু বিশ্বের বেশির ভাগ সম্পদ ধনীশ্রেণীর হাতে, তাই করপোরেট কর এড়ানোর মাধ্যমে অল্প কিছু লোক লাভবান হচ্ছে। ঠিক অন্যদিকে নিম্ন আয়ের লোকের ওপর উচ্চতর করের বোঝা বাড়ছে। তাদের জন্য সঞ্চয় করা ও সম্পদ জমানো কঠিনতর হয়ে উঠছে। আর উচ্চতর কর আরোপ না করলে সরকারি বিনিয়োগ কমে যাবে। করস্বর্গের কারণে যে পরিমাণ রাজস্ব হারাতে হয়েছে, তা দিয়ে শিক্ষা, স্বাস্থ্যসহ জনকল্যাণমূলক কাজে আরো বেশি বিনিয়োগ করা যেত। আর এতে লাভবান হতো সাধারণ মানুষ। অবরোধ, নিষেধাজ্ঞা, মামলা-মোকদ্দমা দিয়ে কর ফাঁকি আর সম্পদ লুকানোর প্রবণতা বন্ধ করা যাবে না। করস্বর্গকে ঠেকানোর জন্য সবার আগে দেশগুলোকে নিজেদের কর ব্যবস্থার সংস্কারের ওপর নজর দিতে হবে। এজন্য নেতৃত্ব দেয়া ব্যক্তিদের আন্তরিকতা অতীব জরুরি। তবে এমন নেতৃত্ব সহজে মিলবে বলে মনে হয় না। এটি মনে করার কারণ, এখন পর্যন্ত প্যারাডাইস পেপারসে ১২০ জন রাজনীতিবিদ ও রাষ্ট্রনেতার নাম প্রকাশ পেয়েছে। নেতৃত্বদানকারীরাই যদি কর ফাঁকি দেন, তবে এর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেবেন কীভাবে? আশা করা যায়, ফাঁকি ধরা পড়ার পরিপ্রেক্ষিতে বিশ্বনেতারা প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে এগিয়ে আসবেন। মনে রাখা জরুরি, কর ফাঁকি আর অর্থ পাচার ঠেকানো না গেলে ধনী-গরিবের মধ্যে সম্পদবৈষম্য বাড়তেই থাকবে। আর এটা চলতে দিয়ে একটি স্থিতিশীল বিশ্ব প্রত্যাশা করা হবে বড় ধরনের ভুল।

 

DISCLAIMER : Views expressed above are the author's own. The contents provided here are only for educational assistance & information purposes only. Information is provided without warranty and is to be used at the risk of the reader. All trademarks, logos and copyright issues are property of their respective owners. The creator of this page takes no responsibility for the way you use the information provided on this site.