হেলাল উদ্দিন

প্রকাশ : ০৮ জুন, ২০১৪: দৈনিক যুগান্তর

আগামী ২০১৪-১৫ অর্থবছর থেকে প্রথমবারের মতো সরকারের রাজস্ব আয়ের প্রধান খাত হতে যাচ্ছে আয়কর বা প্রত্যক্ষ কর। উচ্চ প্রবৃদ্ধির সাড়ে ৫৭ হাজার কোটি টাকার কর আদায় করতে হবে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডকে। এজন্য দেশব্যাপী করজাল ব্যাপকভাবে বিস্তৃত করা হচ্ছে। অভ্যন্তরীণ সম্পদ বাড়াতে মরিয়া অর্থমন্ত্রী আগামী বাজেটে অনেকটা বেপরোয়া হয়ে করের জাল ব্যাপক বিস্তারে অনেকগুলো প্রস্তাব করেছেন। তারপরও নতুন করারোপের অনেক বিষয় এখনও প্রকাশ হয়নি।
১ জুলাই থেকে অভিজাত ও বাণিজ্যিক এলাকার জমি-ফ্ল্যাটের নিবন্ধন বা রেজিস্ট্রি ফি দ্বিগুণেরও বেশি বাড়িয়ে বড় অংকের গেইনট্যাক্স আদায়ের পরিকল্পনা করা হয়েছে। বাস ও ট্রাক ব্যবসার অনুমিত আয়ের ওপরও ২৫ শতাংশ পর্যন্ত কর ধার্য করা হয়েছে। বিদেশ যাত্রীদের ভ্রমণ করও এক বছরের ব্যবধানে ২৫ শতাংশ বাড়ানো হচ্ছে।
সংশ্লিষ্ট সূত্র মতে, অসংখ্য খাত থেকে উৎসে কর আদায় হচ্ছে। তা সত্ত্বেও আরও ১৩টি খাতকে নতুন করে উৎসে করের আওতায়ই শুধু আনা হয়নি, কর হার বৃদ্ধিরও প্রস্তাব করা হয়েছে। সর্বনিু কর জিডিপি হারের বদনাম কাটাতে সমাজের নামিদামি, ব্যক্তি, সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠান, সব স্বায়ত্তশাসিত সংস্থা, পেশাজীবী, বাড়ি, গাড়ি, জমি, সম্পদশালী থেকে শুরু করে ছোটখাটো ব্যবসায়ী ও ব্যক্তিদেরও বিভিন্ন কৌশলে করজালের আওতায় আটকে ফেলা হচ্ছে। তবে এক্ষেত্রে অর্থমন্ত্রী ব্যক্তিশ্রেণীর মধ্যবিত্ত করদাতাদের অসন্তোষ কমাতে কিছুটা করছাড় দিয়ে সমাজের নামিদামি উচ্চ আয়ের করদাতাদের উচ্চ হারে কর দিতে বাধ্য করার কৌশল নিয়েছেন। কর নথির সম্পদে অতিরিক্ত সারচার্জ আরোপ করেও এই শ্রেণীর করভার বাড়ানো হয়েছে। বিদ্যমান ব্যক্তিশ্রেণীর সর্বোচ্চ ২৫ শতাংশ কর দেয়ার প্রথা ভেঙে ৩০ শতাংশ করহার করা হয়েছে। পাশাপাশি সর্বনিম্ন ২ কোটি টাকা এবং সর্বোচ্চ ৩০ কোটি টাকার সম্পদ রয়েছে এমন বিত্তবানদের সারচার্জ ১০ শতাংশ থেকে ৩০ শতাংশ বাড়ানোর প্রস্তাব করা হয়েছে। এতেও বড় সম্পদশালীরা বড় বিপাকে পড়বেন।
অপরদিকে কালো টাকা থেকে আয় বাড়াতে অভিজাত এলাকা ও বাণিজ্যিক এলাকার জমির রেজিস্ট্রেশন মূল্য বর্তমানের চেয়ে দ্বিগুণ বাড়ানো হচ্ছে। অর্থমন্ত্রীর ভাষায়, জমির ক্রয়-বিক্রয় মূল্য কারচুপিই কালো টাকার বড় উৎস। শুক্রবার বাজেটোত্তর সংবাদ সম্মেলনে অর্থমন্ত্রী কালো টাকার বিরুদ্ধে তার কঠোর অবস্থান স্পষ্ট করেছেন। নিজের ভুল স্বীকার করে সাফ জানিয়ে দিয়েছেন, ১ জুলাই থেকে কোনোভাবেই কালো টাকা সাদা করার আর কোনো সুযোগ থাকছে না। এজন্য আয়কর আইনের সংশ্লিষ্ট ধারা সংশোধন করা হবে। তবে জমি ও ফ্ল্যাট নিবন্ধন মূল্য হঠাৎ দ্বিগুণ করায় কালো টাকার মালিকরা বড় আর্থিক ক্ষতির সম্মুখীন হবেন বলে মনে করা হচ্ছে। এতে করে মূল্য কারচুপির মাধ্যমে কালো টাকার বিস্তার কিছুটা রোধ করা যাবে, সরকারও বড় অংকের রাজস্ব পাবে বলে মনে করা হচ্ছে।
জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের সদস্য (আয়কর নীতি) সৈয়দ আমিনুল করীমও করজালের বিস্তৃতির বিষয়টি স্বীকার করেছেন। তিনি জানান, যার যত আয় সম্পদ তাকে তত বেশি কর দিতে হবে। এটা এবারের বাজেটের বড় বৈশিষ্ট্য। এছাড়া বাড়িভাড়াকে করের আওতায় আনায় কয়েক লাখ নতুন করদাতা সৃষ্টি হবে। করজালের বাইরে থাকা বিপুল জনগোষ্ঠীকেও করের আওতায় আনা হচ্ছে। পাশাপাশি কড়া তদারকি ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত করারও পদক্ষেপ নেয়া হচ্ছে। আমিনুল করীম আরও জানান, আগামী বছর ব্যক্তিশ্রেণী ও কর্পোরেট কর হার প্রায় কাছাকাছি আনা হয়েছে। এটা আন্তর্জাতিক স্ট্যান্ডার্ড অনুযায়ী হয়েছে, যা কর আদায়ে বৈষম্য দূর করবে।
জরিমানাও বাড়ছে : সূত্র মতে, উচ্চাভিলাষী লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে নতুন নতুন খাতে করারোপের আগ্রাসী পরিকল্পনা নিয়েছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর)। বিশেষ করে এবার কিছু নতুন খাতকে উৎসে আয়করের আওতায় এনে এ খাত থেকে প্রায় ৩৭ হাজার কোটি টাকার রাজস্ব আয়ের পরিকল্পনা নেয়া হয়েছে। বর্তমানে মোট আয়কর লক্ষ্যমাত্রার ৫৩ শতাংশ আসে উৎস থেকে। নতুন বছরে তা ৬৪ শতাংশে উন্নীত করা হয়েছে। এজন্য এবার বিভিন্ন পর্যায়ে উৎসে করের মুখোমুখি হতে হবে করদাতাদের। পাশাপাশি কর ফাঁকি দিলে জরিমানা বর্তমানের ১০ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে ১৫ শতাংশ করা হয়েছে। আয় গোপন, মিথ্যা তথ্যে উচ্চ জরিমানার পাশাপাশি কর ফাঁকি রোধেও কড়াকড়ি পদক্ষেপ থাকছে। আয়কর আইনে কর ফাঁকির জন্য বিদ্যমান জরিমানা ১০ শতাংশের স্থলে ১৫ শতাংশ করা হচ্ছে।
জমি নিবন্ধনে উচ্চকর : প্রস্তাবিত বাজেটে জমি ও ফ্ল্যাটের রেজিস্ট্রেশনের ক্ষেত্রে ৫ শতাংশ নির্দিষ্ট কর আরোপ করা হয়েছে। রেজিস্ট্রেশনের ক্ষেত্রেও অতিরিক্ত ১ শতাংশ কর দিতে হবে। রাজউক ও সিডিএ আওতাধীন এলাকায় উৎসে কর কর্তনের হার দলিল মূল্যের ৩ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে ৪ শতাংশ করা হচ্ছে। অন্যান্য সিটি কর্পোরেশন এলাকা এবং জেলা সদর দফতরের পৌরসভায় রেজিস্ট্রেশন মূল্যের ওপর ৩ শতাংশ, পৌরসভার ক্ষেত্রে ২ শতাংশ এবং পৌরসভার বাইরের সব জমির ক্ষেত্রে ১ শতাংশ হারে অগ্রিম আয়কর আরোপ হচ্ছে। জমি বিক্রয় থেকে প্রাপ্ত মূলধনী মুনাফার ওপর কতিপয় বাণিজ্যিক গুরুত্বপূর্ণ এবং অভিজাত আবাসিক এলাকায় জমি বা গৃহসম্পত্তির অবস্থান অনুযায়ী এলাকা ভিত্তিতে রেজিস্ট্রেশনকালে বিক্রয়মূল্যের পরিবর্তে প্রতি কাঠার ওপর নির্দিষ্ট পরিমাণ অর্থ উৎসে কর এবং অন্যান্য ক্ষেত্রে দলিল মূল্যের ওপর ১ শতাংশ থেকে ৪ শতাংশ হারে উৎসে কর আদায় করা হবে।
উদাহরণস্বরূপ যদি কোনো ব্যক্তি গুলশান বা বনানী বাণিজ্যিক এলাকায় এক কাঠা জমি সরকার নির্ধারিত বাজারমূল্য অর্থাৎ ১ কোটি ৮০ লাখ টাকায় বিক্রি করে থাকেন তাহলে বর্তমান আইন অনুযায়ী তাকে জমি রেজিস্ট্রেশনের সময় ৩ শতাংশ হারে ৫ লাখ ৪০ হাজার টাকা উৎসে কর দিতে হতো। প্রস্তাবিত বাজেটে ওই একই দামে জমি বিক্রি করলে রেজিস্ট্রেশনের সময় ৪ শতাংশ ও ১০ লাখ ৮০ হাজার টাকার মধ্যে যেটি বেশি হয় সেটিকে কর হিসেবে দিতে হবে। এ হিসেবে যদি কোনো ব্যক্তি প্রতি কাঠা জমি ৩ কোটি টাকায় বিক্রি করেন। তবে ৪ শতাংশ হারে তাকে ১২ লাখ টাকা উৎসে কর দিতে হবে।
করজালে উচ্চ শ্রেণী : অর্থমন্ত্রীর ভাষায়, সম্পদের সুষম বণ্টন নিশ্চিত করা এবং ধনী-গরিবের বৈষম্য কমানোর উদ্দেশে ৪৪ লাখ ২০ হাজার টাকার অধিক আয়ের ওপর বিদ্যমান করের হার ২৫ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে ৩০ শতাংশ করা হয়েছে। তবে অন্য আয়ের করদাতার তুলনায় অস্বাভাবিক হারের এই কর আরোপ কতটুকু যৌক্তিক সেই প্রশ্নও উঠেছে জোরেশোরে। তাছাড়া সম্পদের মালিকানার ভিত্তিতে ক্রমবর্ধমান হারে ১০ শতাংশ থেকে ২৫ শতাংশ পর্যন্ত সারচার্জ আরোপ করা হয়েছে। বিষয়টি ব্যাখ্যা করে এনবিআরের একজন নীতিনির্ধারক জানান, বুর্জোয়া ধনিক শ্রেণীর সম্পদের ভিত্তিতে অতিরিক্ত সারচার্জ আরোপ করা হচ্ছে। এতদিন ২ কোটি টাকার বেশি সম্পদের জন্য ১০ শতাংশ অতিরিক্ত সারচার্জ, ১০ কোটির বেশি সম্পদে ১৫ শতাংশ সারচার্জ ছিল। এখন তা পরিবর্তন করে ২০ কোটি টাকার বেশি সম্পদ হলে ২০ শতাংশ এবং ৩০ কোটির বেশি সম্পদে ২৫ শতাংশ অতিরিক্ত সারচার্জ আরোপ করা হচ্ছে। এতে বড় বড় শিল্প গ্রপকে অনেক বেশি কর দিতে হবে। কম করস্তর থাকায় কর ফাইলে অধিকাংশ কোম্পানির প্রকৃত সম্পদ দেখানো ছিল। এখন তারা বিপাকে পড়বেন।
বাড়ি ভাড়া পরিশোধের পদ্ধতি : এই প্রথম দেশের বিপুল গৃহসম্পত্তি খাতের আর্থিক লেনদেনকে করের আওতায় আনা হচ্ছে। এজন্য সর্বমোট মাসিক ভাড়া ২৫ হাজার টাকার অধিক হলে ব্যাংকের মাধ্যমে বাড়ি ভাড়া পরিশোধ বাধ্যতামূলক কর হচ্ছে। এ বিষয়ে ১ জুলাই থেকে বিশেষ নীতিমালা কার্যকর হবে। এনবিআর জানিয়েছে, বাড়ির মালিকরা বাণিজ্যিক ব্যাংকে বাড়ি ভাড়া গ্রহণের জন্য পৃথক হিসাব পরিচালনা করবেন। ব্যাংক হিসাবে বাড়ি ভাড়া জমা করা না হলে বা নির্ধারিত পদ্ধতি অনুসরণ না করলে বাধ্যতামূলকভাবে ৫০ শতাংশ জরিমানা আরোপ করা হবে।
ব্যবসায় আয় রয়েছে এমন করদাতাদের ক্ষেত্রে বাড়ি ভাড়া ব্যাংকের মাধ্যমে পরিশোধ করা না হলে দাবিকৃত খরচ অগ্রাহ্য করা এবং উৎসে কর কর্তনকারী কর্তৃপক্ষ হিসেবে হাসপাতাল, ক্লিনিক, ডায়াগনস্টিক সেন্টারকেও অন্তর্ভুক্ত করা হলে বা মিথ্যা রিপোর্টিংয়ের প্রমাণ পাওয়া গেলে আর্থিক জরিমানা আরোপের বিধান করা হচ্ছে। কোম্পানি করদাতার পাশাপাশি যে কোনো করদাতার ক্ষেত্রে ৫ কোটি টাকার অধিক ব্যবসায়িক টার্নওভার হলে পেশাদার হিসাববিদের নিরীক্ষা প্রতিবেদন দাখিল বাধ্যতামূলক করা।
ডিমিউচুয়ালাইজড স্টক এক্সচেঞ্জ : সূত্রমতে, শেয়ারবাজারে ডিমিউচুয়ালাইজড ঢাকা ও চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জকে ৫ বছরের জন্য বছরভিত্তিক ক্রমহ্রাসমান হারে আয়কর অব্যাহতি দেয়া হচ্ছে। আগে এ খাতটি করমুক্ত ছিল। এর স্তর হচ্ছে ২য় বছর থেকে ২০ শতাংশ, ৩য় বছর ৪০ শতাংশ, ৪র্থ বছর ৬০ শতাংশ এবং ৫ম বছর ৮০ শতাংশ হারে কর দিতে হবে। এছাড়া স্টক এক্সচেঞ্জের সদস্যদের ডিমিউচুয়ালাইজড শর্ত অনুযায়ী ৬০ শতাংশ শেয়ার বিক্রি করে দিতে হবে। এতে সদস্যরা শত শত কোটি টাকা আয় করবে বলে মনে করছে এনবিআর। এই আয়ের ওপর আগামী বছর ১৫ শতাংশ হারে কর দিতে হবে। একই সঙ্গে বিও অ্যাকাউন্টধারীদেরও করের আওতায় আনা হচ্ছে। আগামী বছর ১০ লাখ টাকা আয় পর্যন্ত করমুক্ত রেখে এর বেশি আয়ের ওপর ৩ থেকে সর্বোচ্চ ৫ শতাংশ অতিরিক্ত কর দিতে হবে।
স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠানের আয়ের ওপর হ্রাসকৃত ২৫ শতাংশ হারে করারোপ করা হচ্ছে। যদিও অর্থমন্ত্রীর ভাষায় জনকল্যাণে নিয়োজিত স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠানসমূহের করের বোঝা হ্রাস করার জন্য আয় উপার্জনকারী স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠানের মূলধনী লাভ ছাড়া সব আয়ের ওপর ২৫ শতাংশ হারে কর আরোপ করা হচ্ছে।
উৎসে করের আওতা : আয়কর আদায় বাড়াতে প্রস্তাবিত বাজেটে ১৩টি খাতকে নতুন করে উৎসে করের আওতায় আনা হয়েছে। একই সঙ্গে এসব খাতে কর হার বৃদ্ধির প্রস্তাব করা হয়েছে। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হচ্ছে : জমি বিক্রির ওপর উৎসে কর ১ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে ৪ শতাংশ করা, লিজ দলিলের ওপর ৪ শতাংশ উৎসে কর আরোপ, কুইক রেন্টালের ওপর ৪ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে ৬ শতাংশ উৎসে কর, এছাড়া জীবন বীমা খাতে ৫ শতাংশ, সিকিউরিটিজের সুদে ৫ শতাংশ হারে, ট্রাভেল এজেন্সির কমিশন ও ইনসেনটিভ বোনাস পাওয়ার ওপর ৩ শতাংশ, অনলাইন বিজ্ঞাপনে ৩ শতাংশ, ভাড়ায় চালিত স্থলযানে নিবন্ধন নবায়নকালে প্রযোজ্য উৎসে কর হার বৃদ্ধি, ভাড়ায় চালিত জলযানের ক্ষেত্রে উৎসে কর হার বাড়ানো, ব্যক্তিগত যানবাহন কার, জিপ, মাইক্রোবাস নিবন্ধন নবায়নকালে প্রযোজ্য উৎসে কর যৌক্তিক করা, জ্বালানি তেল শোধনাগার কোম্পানি এবং তেল বিপণনকারী ডিলার বা এজেন্ট সরবরাহের বিপরীতে বিল পরিশোধকালে মোট অঙ্কের ওপর ১ শতাংশ হারে এবং জ্বালানি তেল শোধনাগার কোম্পানির ক্ষেত্রে উৎসে কর ৩ শতাংশ হারে আরোপ, গ্যাস ট্রান্সমিশন কোম্পানি উৎসে কর সর্বোচ্চ ৫ শতাংশ থেকে ৩ শতাংশে নামিয়ে আনা, ব্রিকফিল্ডের আয়কে উৎসে করের আওতায় আনা, লোকাল এলসির ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ ৫% হারে উৎসে কর কর্তনের পরিবর্তে ৫ লাখ টাকা পর্যন্ত বিল পরিশোধকালে কোনো কর কর্তন না করা এবং ৫ লাখ টাকার অধিক এলসি মূল্যের ওপর ৩ শতাংশ হারে উৎসে কর কর্তন করা হবে। এছাড়া কতিপয় ভোগ্যপণ্যের লোকাল এলসির ক্ষেত্রে এরূপ উৎসে কর কর্তন না করা এবং সফ্ট ড্রিংকসের ন্যায় বোতলজাত খাবার পানির (মিনারেল ওয়াটার) ব্যান্ড রোলের মূল্য সংযোজন করের ভিত্তি মূল্যের ওপর ৩ শতাংশ হারে উৎসে কর কর্তন করা হবে।