মইনুল ইসলাম

বিশ্বব্যাংক চালাকির খেলায় হারিয়ে দিয়েছে বাংলাদেশকে। ভালো রকম বিপর্যস্ত অবস্থানে নাকানি-চুবানি খেয়েছেন সরকারের কর্তাব্যক্তিরা। অবশেষে ২৯ জানুয়ারি ২০১৩-তে এসে অর্থমন্ত্রী স্বীকার করলেন, ‘বিশ্বব্যাংকের ঋণের ব্যাপারে কোনো সুখবর পাওয়ার সম্ভাবনা ক্ষীণ।’ পয়লা ফেব্রুয়ারি বিশ্বব্যাংক থেকে ঋণ গ্রহণ না করার সিদ্ধান্ত জানানো হলো। গত সোমবার অর্থমন্ত্রী এ নিয়ে সংসদে একটি বিবৃতি দিয়ে সরকারের অবস্থান ব্যাখ্যা করেছেন। তিনি বলেছেন, নিজস্ব অর্থায়নে তিন বছরের মধ্যেই পদ্মা সেতুর নির্মাণকাজ শেষ হবে। এর আগে যোগাযোগমন্ত্রী বিকল্প ব্যবস্থায় আগামী অক্টোবরের মধ্যেই মূল সেতুর নির্মাণকাজ শুরু করা হবে বলে ঘোষণা দেন।
২০১২ সালের ২৯ জুন যখন বিশ্বব্যাংকের সাবেক প্রেসিডেন্ট রবার্ট জোয়েলিক তাঁর অবসর গ্রহণের আগের দিন ঋণচুক্তি বাতিলের আদেশপত্রে স্বাক্ষর করেছিলেন, তখনই মোটামুটি বিশ্বব্যাংকের নিয়তটা পরিষ্কারভাবে বোঝা গিয়েছিল। জুলাই মাস থেকে বিকল্প অর্থায়নে ভালো-খারাপ নিয়ে বিতর্ক তুঙ্গে উঠেছিল; আমিও অংশ নিয়েছিলাম। আমার মতামত জানিয়েছিলাম, বিশ্বব্যাংক না এলেও আমরা পারব ইনশা আল্লাহ। কষ্টকর হবে, সুদ বেশি বিকল্প অর্থায়নে—সবই বুঝি। কিন্তু কোমর সোজা করে বিশ্বব্যাংকের অপমানের জবাব দিতে বলেছিলাম। কিন্তু অর্থমন্ত্রী মহোদয়ের ‘বিশ্বব্যাংক-ভক্তি’কে টলানো যায়নি। ফলে নতজানু হয়ে বিশ্বব্যাংকের কৃপা ভিক্ষার সিদ্ধান্তই নিল সরকার।
গত সাত মাসে বিশ্বব্যাংক বাংলাদেশ সরকারকে নাকখত দেওয়ানোর কৌশল নিয়েছিল। বিশেষত, যখন তারা বুঝতে পারল যে মালয়েশিয়ার কথিত প্রস্তাবটি গ্রহণযোগ্য কিংবা আকর্ষণীয় বিকল্প হিসেবে বিবেচিত হওয়ার যোগ্যতা রাখে না, তখনই তারা শর্ত কঠোরতর করতে লাগল। বাংলাদেশ সরকার যতই কোণঠাসা হয়ে বিশ্বব্যাংকের শর্তগুলো মেনে নিয়ে ইতিবাচক সিদ্ধান্ত বের করার জন্য মরিয়া প্রয়াস চালাচ্ছিল, ততই দর-কষাকষির খেলায় বিশ্বব্যাংক নতুন নতুন দাবি জানাতে থাকে। এডিবি ও জাইকা নিজেদের ঋণ ছাড় করার শর্ত হিসেবে বিশ্বব্যাংকের ঋণপ্রস্তাব পুনর্বহাল জুড়ে দেওয়ার কারণেই বিশ্বব্যাংক বাংলাদেশকে এতখানি বেকায়দায় ফেলতে সমর্থ হয়েছে, বলা বাহুল্য।
২০১৩ সালের জানুয়ারি মাসের মধ্যে এসপার-ওসপার সিদ্ধান্ত জানানোর জন্য সরকারের পক্ষ থেকে অনুরোধ করা হলে বিশ্বব্যাংকের ঢাকা প্রতিনিধি সাফ জানিয়ে দিলেন, তাঁরা তা করবেন না। বাংলাদেশ ইচ্ছা করলে অন্য পথ দেখতে পারে। কূটনৈতিক শিষ্টাচারের তোয়াক্কা না করে তিনি বরং বিশ্বব্যাংকের অবস্থানকে এ দেশে ‘অত্যন্ত জনপ্রিয়’ বলে অভিহিত করে বক্তব্য দিতেও পিছপা হলেন না। পয়লা ফেব্রুয়ারি বিশ্বব্যাংকের ঋণপর্বের যবনিকাপাত।
ওপরে বর্ণিত পুরো ঘটনাটি মহাজোট সরকারের জন্য মহাবিপর্যয়কর হয়ে গেছে। কিন্তু এটাকে আমি ‘শাপে বর’ হয়েছে বলে মনে করছি। বিশ্বব্যাংকের ঋণের প্রতি এ দেশের শাসক মহলের আসক্তি অনেকটা আফিমের মতো। স্বাধীনতা-উত্তর ৪১ বছর ধরে তা গেড়ে বসেছিল। ২০১১ সালের জুনে বিশ্বব্যাংকের সিদ্ধান্তপর্বেই সরকারের মোহমুক্তি ঘটাই ছিল যৌক্তিক। প্রধানমন্ত্রীর অর্থনৈতিক উপদেষ্টা মসিউর রহমানও বলেছিলেন, বর্তমান সরকারের আমলে বিশ্বব্যাংকের ঋণ নিয়ে সেতু নির্মাণের কাজ শুরু করার আর সুযোগ নেই। অতএব, সেতুর ডিজাইন কাটছাঁট করে নিজস্ব অর্থায়নে সেতুর নির্মাণ-প্রক্রিয়া এগিয়ে নিতে পরামর্শ দিয়েছিলেন তিনি। এ ব্যাপারে আমার মতও ছিল অভিন্ন। কিন্তু পর্দার অন্তরালে যোগাযোগ ও দৌড়ঝাঁপ করে আবারও বিশ্বব্যাংককে ফেরত আনার চেষ্টা চলতে থাকল। নতুন নতুন শর্ত দিতে থাকল বিশ্বব্যাংক। টক্কর লাগল দুর্নীতি দমন কমিশনের সঙ্গে। একটি স্বাধীন-সার্বভৌম দেশের স্বাধীন দুদক এত সব হস্তক্ষেপমূলক ও অন্যায় ডিক্টেশন মানবেই বা কেন?
‘দুর্নীতির ষড়যন্ত্র’-সম্পর্কিত বিশ্বব্যাংকের অবস্থান, সরকারের অবস্থান এবং দুর্নীতি দমন কমিশনের মামলার এজাহার নিয়ে দুদক ও বিশ্বব্যাংক কর্তৃক নিযুক্ত তদন্ত প্যানেলের মতদ্বৈধতা নিয়ে বিস্তৃত আলোচনা করতে চাই না। তবে দুদকের এজাহারের কথিত ‘হাসান-হোসেন গ্রেপ্তার’ পর্বটিতে প্রধানমন্ত্রী নিজেকে না জড়ালেই ভালো হতো।
বিশ্বব্যাংকের প্রেসিডেন্ট প্রদত্ত ২৯ জানুয়ারির বিবৃতিতে সরাসরি অভিযোগ করা হয়েছে, দুর্নীতির সুস্পষ্ট আলামত-সম্পর্কিত নথিপত্র বিশ্বব্যাংকের পক্ষ থেকে বাংলাদেশ সরকারকে সরবরাহ করা সত্ত্বেও তারা ওই যথাযথ ব্যবস্থা না নেওয়ায় বিশ্বব্যাংক ঋণের ব্যাপারে ইতিবাচক সিদ্ধান্ত নিতে পারছে না। দুদকের এজাহার নেহাতই দুদকের সিদ্ধান্তের ফসল, এ ক্ষেত্রে সরকারের কোনোই ডিক্টেশন নেই—এই সত্যটি বিশ্বাসযোগ্য হয়নি কারও কাছে। এমনকি অধিকাংশ পত্রপত্রিকায় খবর প্রকাশিত হয়েছে: একজন সৈয়দ আবুল হোসেনকে বাঁচাতে গিয়ে সরকার পদ্মা সেতুর স্বপ্নকে জলাঞ্জলি দিয়েছে। হোসেনকে গ্রেপ্তার করলেই নাকি বিশ্বব্যাংকের ঋণ পুনর্বহাল হয়ে যেত!
বিষয়টিকে এভাবে সরলীকরণ করতে নারাজ আমি। বিশ্বব্যাংককে উন্নয়নশীল ও স্বল্পোন্নত দেশগুলোর অর্থনৈতিক উন্নয়নের ‘দানবীর মহান ভ্রাতা’ হিসেবে খাড়া করতে যেসব ব্যক্তি অহর্নিশ বিশেষজ্ঞ জ্ঞান বিতরণ করতে সিদ্ধহস্ত, তাঁদের পক্ষেই এ ধরনের একতরফা গলাবাজি সম্ভব। পদ্মা সেতু প্রকল্পের পুরো বিষয়টিতে বিশ্বব্যাংকের অন্তর্ভুক্তি পর্যায় থেকে তাদের একরোখা ডিক্টেশনের ধারা সম্পর্কে যাঁরা ওয়াকিবহাল, তাঁরা বরং এখন সিদ্ধান্তেই পৌঁছাতে পারেন যে প্রকল্পটিকে সরকারের মেয়াদকালে না হতে দেওয়ার মিশন নিয়েই বিশ্বব্যাংক ‘প্রধান ঋণদাতার’ ভূমিকাটি এশীয় উন্নয়ন ব্যাংকের (এডিবি) কাছ থেকে জোর করে কেড়ে নিয়েছিল এবং সুপরিকল্পিতভাবে তারা ওই উদ্দেশ্যটি হাসিল করে নিয়েছে। নিচের ব্যাপারগুলো লক্ষ করুন:
১. জাপানের সম্ভাব্যতা সমীক্ষা মোতাবেক পদ্মা সেতু প্রকল্পটি ছিল ১ দশমিক ৭ বিলিয়ন ডলারের প্রকল্প। কিন্তু বিশ্বব্যাংকের চাপাচাপিতে কয়েকবার ডিজাইন পরিবর্তনের মাধ্যমে সেতু প্রকল্পকে ২ দশমিক ৯১ বিলিয়ন ডলারের ‘গ্র্যান্ড ব্রিজ প্রজেক্টে’ রূপান্তরিত করে ফেলা হয়েছে। প্রাথমিকভাবে সেতু প্রকল্পে বিশ্বব্যাংকের অর্থায়ন চাওয়া হয়েছিল ৬০ কোটি ডলার, কিন্তু বিশ্বব্যাংকই স্বতঃপ্রণোদিত হয়ে তাদের ঋণকে ১২০ কোটি ডলারে সম্প্রসারিত করেছিল; প্রকল্পে নিজেদের একচ্ছত্র নিয়ন্ত্রণকে বাড়ানোর উদ্দেশ্যে।
২. প্রথমে এশীয় উন্নয়ন ব্যাংকই ছিল প্রকল্পের প্রধান ঋণদাতা। কিন্তু প্রধানমন্ত্রীর অর্থনৈতিক উপদেষ্টার মাধ্যমে প্রভাব খাটিয়ে ওই ভূমিকাটি বিশ্বব্যাংক কেড়ে নিয়েছিল। এডিবি ওই সময় বেশ খানিকটা উষ্মা প্রকাশও করেছিল। এভাবে একটি সহযোগী সংস্থা থেকে প্রকল্পের নিয়ন্ত্রণ কেড়ে নেওয়াটা রহস্যজনক মনে হয়।
৩. পরামর্শক প্রতিষ্ঠান নিয়োগে বিশ্বব্যাংক সুপারিশ করেছিল অন্য একটি কোম্পানির জন্য, কিন্তু অধ্যাপক জামিলুর রেজা চৌধুরীর নেতৃত্বাধীন মূল্যায়ন কমিটি ওই কোম্পানির বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছিল ওই প্রতিষ্ঠানটি ‘ব্ল্যাক লিস্টেড’ হয়েছিল বলে। ব্ল্যাক লিস্টেড করার কারণ ছিল, ওই কোম্পানি নিজেদের কাজের অভিজ্ঞতার ফিরিস্তি দিতে গিয়ে যে সেতুর ছবি ও কাগজপত্র জমা দিয়েছিল, সেগুলো সবই ভুয়া প্রমাণিত হয়েছিল। এতৎসত্ত্বেও বিশ্বব্যাংক বারবার ওই প্রতিষ্ঠানকে কাজ দিতে পীড়াপীড়ি করছিল, যার ফলে পরামর্শক নিয়োগ-প্রক্রিয়া বছর খানেক বিলম্বিত হয়। কমিটির দৃঢ় অবস্থানের কারণে যখন ওই ‘ব্ল্যাক লিস্টেড’ প্রতিষ্ঠানটি চূড়ান্ত বিবেচনায় প্রত্যাখ্যাত হয়, তখন ওই কোম্পানির বাংলাদেশি এজেন্ট প্রকাশ্যে হুমকি দিয়েছিল, কীভাবে পদ্মা সেতু হয়, সে দেখে নেবে। ওই এজেন্টকে দুদক আজও পাকড়াও করতে পারেনি। সে গায়েব হয়ে গেছে। বিশ্বব্যাংক একটি ব্ল্যাক লিস্টেড কোম্পানির পক্ষে কমিটির সঙ্গে কেন হাত মোচড়ানোর খেলায় মেতে উঠেছিল, তারও তদন্ত হওয়া আবশ্যক। সেটা কি অনৈতিক কাজ হয়নি? এটাও একধরনের দুর্নীতি। প্রায় একটি বছর ওই ইস্যুতে নষ্ট করে ফেলা কি সময়ের অপচয় নয়?
৪. বিশ্বব্যাংকের সর্বশেষ শর্তে পুরো প্রকল্পের জন্য তাদের পক্ষ থেকে একজন ‘প্রশাসক’ নিয়োগের প্রস্তাব করা হয়েছিল। প্রকল্পটি যদি বাংলাদেশ সরকারের হয়, তাহলে বিশ্বব্যাংক কোন অধিকারে প্রকল্পের চূড়ান্ত নিয়ন্ত্রণ নিজ হাতে নিতে চেয়েছিল? বাংলাদেশকে যে ঋণ দেবে, তা সুদাসলে ফেরত নেবে। বাংলাদেশকে তারা কৃপা করছে না। এত বড় অপমান আমাদের নীতিনির্ধারকেরা কীভাবে হজম করলেন, বুঝি না।
ওপরের বিষয়গুলো আমার বিবেচনায় একটি দেশের প্রতি বিশ্বব্যাংকের নব্য ঔপনিবেশিক দাদাগিরির নিকৃষ্ট নজির হিসেবে জনগণের কাছে প্রতিভাত হয়েছে। পদ্মা সেতু আমাদের প্রয়োজন। পদ্মা সেতু আমরা করবই, ইনশা আল্লাহ। পরামর্শক নিয়োগে দুর্নীতির ষড়যন্ত্রের বিষয়টি বিচারাধীন। আমি এখনো বিচারব্যবস্থার ওপর আস্থাশীল থাকতে চাই। এই বছরের মধ্যে কানাডার আদালত থেকেও রায় পাওয়া যাবে। হাসান-হোসেন, মহেশ-ইসমাইল, এসএনসি-লাভালিন-সম্পর্কিত যাবতীয় ধূম্রজাল অপসারিত হবে।
পয়লা ফেব্রুয়ারি বাংলাদেশ সরকার কর্তৃক বিশ্বব্যাংককে বিদায় জানানো হঠকারিতা হয়েছে বলে অনেকেই সরকারকে তুলাধোনা করে চলেছেন। আমি এটাকে ‘শাপে বর’ বলছি। পরনির্ভরতা থেকে বাংলাদেশের মুক্তির যে উষালগ্ন এসে গেছে, সে সুসংবাদটি এবার জনগণ পেয়ে যাবে। আমাদের অর্থনীতির সক্ষমতার একটি পরীক্ষা হয়ে যাক না। পরীক্ষায় যে সফল হব, সে ব্যাপারে আমি নিঃসন্দেহ। এই চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিচ্ছি তাঁদের প্রতি, যাঁরা সারা জীবন গাছেরটা খেয়ে এখন তলারটা কুড়ানোর জন্য বিভিন্ন গবেষণা ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান খুলে বৈদেশিক ঋণ/অনুদানপ্রাপ্ত প্রকল্পগুলোর পরামর্শকের কাজ বাগানোর ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছেন।
অধ্যাপক জামিলুর রেজা চৌধুরীর মতো আমারও পরামর্শ: কয়েকটি পর্যায়ে ভাগ করে প্রকল্পটিকে ধাপে ধাপে বাস্তবায়িত করা হোক। সেতুর প্রস্তাবিত অঞ্চলে এখনো যেহেতু রেললাইন নেটওয়ার্ক নেই, তাই ভবিষ্যতের জন্য ওই কমপোন্যান্টটি যোগ করার সুযোগ রেখে সেতুর ডিজাইন রিভাইজ করা হোক। বিকল্প হিসেবে বঙ্গবন্ধু যমুনা সেতুর পাশ দিয়ে অনেক কম ব্যয়ে আরেকটি রেলসেতু নির্মাণ করে ‘ট্রান্স এশীয় রেলপথের’ সঙ্গে কানেকটিভিটি গড়ে তোলা যাবে। প্রাথমিক পর্যায়ে শুধু সড়কসেতু নির্মাণের ব্যয় দুই বিলিয়ন ডলারের নিচেই থাকবে। চার থেকে পাঁচ বছরে এই দুই বিলিয়ন ডলার আমাদের নিজস্ব অর্থায়ন থেকে সংগ্রহ করলে অর্থনীতির ওপর অসহনীয় বোঝা চেপে বসবে না; জিডিপি প্রবৃদ্ধির হারেও কোনো নিম্নমুখী প্রবণতা সৃষ্টি হবে না। প্রবাসীদের জন্য বন্ড ছেড়ে, রিজার্ভ থেকে কিয়দংশ নিয়ে, উন্নয়ন বাজেটের পুনর্বিন্যাস করে বছরওয়ারি বৈদেশিক মুদ্রার সংস্থান করা যাবে। বিজ্ঞজনেরা কেন যে জুজুর ভয় দেখাচ্ছেন, বুঝতে পারছি না। শেষ কথা, বড় ধরনের একটি আস্থার সংকটে পড়েছে সরকার। দুর্নীতির ব্যাপারে ‘জিরো টলারেন্স’ নীতিটা শুধু গলাবাজিতে নয়, কাজেও প্রমাণ করতে হবে আগামী ১০ মাসে। নয়তো শুধু সেতু প্রকল্প নয়, খোদ সরকারি জোটই পদ্মা নদীতে ডুবে যাবে আগামী নির্বাচনে। সাধু সাবধান!
ড. মইনুল ইসলাম: অধ্যাপক, অর্থনীতি বিভাগ, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় ও সাবেক সভাপতি, বাংলাদেশ অর্থনীতি সমিতি।

প্রকাশিত: প্রথম আলো: তারিখ: ০৬-০২-২০১৩