Print
Hits: 36367

একুশে পদক বাংলাদেশের একটি জাতীয় এবং দ্বিতীয় সর্বোচ্চ বেসামরিক পুরস্কার। বাংলাদেশের বিশিষ্ট ভাষাসৈনিক, ভাষাবিদ, সাহিত্যিক, শিল্পী, শিক্ষাবিদ, গবেষক, সাংবাদিক, অর্থনীতিবিদ, দারিদ্র্য বিমোচনে অবদানকারী, সামাজিক ব্যক্তিত্ব ও প্রতিষ্ঠানকে জাতীয় পর্যায়ে অনন্য অবদানের স্বীকৃতি প্রদানের উদ্দেশ্যে ১৯৭৬ সাল থেকে একুশে পদক প্রদান করা হচ্ছে।  

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মহান একুশে ফেব্রুয়ারি ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উপলক্ষে দেশের ১৯ বিশিষ্ট ব্যক্তি ও ২টি প্রতিষ্ঠানকে ‘একুশে পদক-২০২৩’ প্রদান করেন।

এবার ভাষা আন্দোলন ক্যাটাগরিতে তিনজন এই পদক পেয়েছেন। তাঁরা হলেন

  1. খালেদা মনযুর-ই-খুদা,
  2. বীর মুক্তিযোদ্ধা এ কে এম শামসুল হক (মরণোত্তর) ও
  3.  হাজি মো. মজিবর রহমান।

শিল্পকলার বিভিন্ন শ্রেণিতে আটজন এই পদক পেয়েছেন।

  1. অভিনয়ে পেয়েছেন মাসুদ আলী খান ও শিমূল ইউসুফ,
  2. সংগীতে মনোরঞ্জন ঘোষাল, গাজী আবদুল হাকিম ও ফজল-এ-খোদা (মরণোত্তর),
  3. আবৃত্তিতে জয়ন্ত চট্টোপাধ্যায়,
  4. শিল্পকলায় নওয়াজীশ আলী খান,
  5. চিত্রকলায় কনকচাঁপা চাকমা।

মুক্তিযুদ্ধে- মমতাজ উদ্দীন (মরণোত্তর),

সাংবাদিকতায়- মো. শাহ আলমগীর (মরণোত্তর),

গবেষণায়- মো. আবদুল মজিদ,

শিক্ষায়- অধ্যাপক মযহারুল ইসলাম (মরণোত্তর) ও বাংলাদেশ জাতীয় জাদুঘর,

সমাজসেবায়- বিদ্যানন্দ ফাউন্ডেশন ও মো. সাইদুল হক,

রাজনীতিতে- মঞ্জুরুল ইমাম (মরণোত্তর) ও আকতার উদ্দিন মিয়া (মরণোত্তর) এবং

 ভাষা ও সাহিত্যে- ড. মনিরুজ্জামান একুশে পদক পেয়েছেন।

১৯৫২ সালের ভাষা আন্দোলনের শহীদদের স্মরণে ‘একুশে পদক’ প্রবর্তন করা হয়। পুরস্কার হিসেবে প্রত্যেক বিজয়ীকে স্বর্ণপদক, সম্মাননা সনদ ও নগদ অর্থ দিয়ে পুরস্কৃত করা হয়। সর্বশেষ ২০২০ সালে অর্থের পরিমাণ বাড়িয়ে চার লাখ টাকা করা হয়।

এবারের অনুষ্ঠানে সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ সভাপতিত্ব করেন। মন্ত্রিপরিষদসচিব মো. মাহবুব হোসেন পদক বিতরণ পর্ব সঞ্চালনা ও পদক বিজয়ীদের সাইটেশন পাঠ করেন। সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. আবুল মনসুর স্বাগত বক্তব্য দেন।


একুশে পদক ২০২২’ প্রদানের জন্য ২৪ জন বিশিষ্ট ব্যক্তির নাম ঘোষণা করে। এ বছর ভাষা আন্দোলন বিভাগে ২ জন, মুক্তিযুদ্ধে ৪ জন, শিল্পকলা (শিল্প, সংগীত ও নৃত্য) বিভাগে ৭ জন , সমাজসেবা বিভাগে ২ জন, ভাষা ও সাহিত্যে ২ জন, গবে ষণায় ৪ জন, সাংবাদিকতায় ১ জন, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিতে ১ জন এবং শিক্ষায় ১ জন পুরস্কার পেয়েছেন।

ভাষা আন্দোলনের ক্ষেত্রে মোস্তফা এম এ মতিন (মরণোত্তর) ও মির্জা তোফাজ্জল হোসেন মুকুল (মরণোত্তর) পুরস্কার পেয়েছেন।

মুক্তিযুদ্ধ বিভাগে পেয়েছেন বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. মতিউর রহমান, রাষ্ট্রদূত সৈয়দ মোয়াজ্জেম আলী (মরণোত্তর), কিউ এ বি এম রহমান ও আমজাদ আলী খন্দকার।

নৃত্যে পেয়েছেন জিনাত বরকতুল্লাহ।

সংগীতে নজরুল ইসলাম (মরণোত্তর), ইকবাল আহমেদ ও মাহমুদুর রহমান।

অভিনয়ে খালেদ মাহমুদ খান (মরণোত্তর), আফজাল হোসেন ও মাসুম আজিজ।

সাংবাদিকতায় পেয়েছেন এম এ মালেক।

বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিতে পেয়েছেন মো. আনোয়ার হোসেন।

শিক্ষায় পেয়েছেন অধ্যাপক গৌতম বুদ্ধ দাস। 

সমাজসেবা বিভাগে পেয়েছেন এস এম আব্রাহাম লিংকন ও সংঘরাজ ডা. জ্ঞানশ্রী মহাথেরো।

ভাষা ও সাহিত্য বিভাগে পুরস্কার পেয়েছেন কবি কামাল চৌধুরী ও ঝর্ণা দাস পুরকায়স্থ।

গবে ষণা বিভাগে পেয়েছেন ইমেরিটাস অধ্যাপক মো. আবদুস সাত্তার মণ্ডল, ডা. মো. এনামুল হক (টিম লিডার), ডা. শাহানাজ সুলতানা (টিম) ও ডা. জান্নাতুল ফেরদৌস (টিম)।

 


একুশ পদক ২০২০

নাম ক্ষেত্র

১. আমিনুল ইসলাম বাদশা (মরণোত্তর) ভাষা আন্দোলন

২. ডালিয়া নওশিন শিল্পকলায় (সংগীত)

৩. শঙ্কর রায় শিল্পকলায় (সংগীত)

৪. মিতা হক শিল্পকলায় (সংগীত)

৫. গোলাম মোস্তফা খান শিল্পকলায় (নৃত্য)

৬. এস এম মহসীন শিল্পকলায় (অভিনয়)

৭. ফরিদা জামান শিল্পকলায় (চারুকলা)

৮. হাজী আক্তার সরদার (মরণোত্তর) মুক্তিযুদ্ধ

৯. আবদুল জব্বার (মরণোত্তর) মুক্তিযুদ্ধ

১০. আ আ ম মেসবাহুল হক মুক্তিযুদ্ধ

১১. জাফর ওয়াজেদ সাংবাদিকতা

১২. জাহাঙ্গীর আলম খান গবেষণা

১৩. সৈয়দ মোহাম্মদ ছাইফুর রহমান নিজামী শাহ গবেষণা

১৪. বিকিরণ প্রসাদ বড়ুয়া শিক্ষা

১৫. শামসুল আলম অর্থনীতি

১৬. সুফি মিজানুর রহমান সমাজসেবা

১৭. নুরুন নবী ভাষা ও সাহিত্যে

১৮. সিকদার আমিনুল হক (মরণোত্তর) ভাষা ও সাহিত্যে

১৯. নাজমুন নেসা পিয়ারি ভাষা ও সাহিত্যে

২০. সায়েবা আখতার চিকিৎসা

২১. বাংলাদেশ মৎস্য গবেষণা ইনস্টিটিউট গবেষণা

 ২০১৫ সালে পদকপ্রাপ্তরা হলেন-

 সম্মাননাস্বরূপ প্রত্যেককে নগদ এক লাখ টাকা, ৩৫ গ্রাম ওজনের একটি স্বর্ণপদক ও একটি সম্মাননাপত্র দেওয়া হয়।