আগামী তিন মাসের মধ্যে কারিগরি শিক্ষা অধিদপ্তরের আওতাধীন বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে নিয়োগপ্রাপ্ত শিক্ষকদের মধ্যে সাড়ে ৪০০ জনকে এমপিওভুক্ত করা হবে। এজন্য দ্রুত গতিতে কাজ করা হচ্ছে।
বৃহস্পতিবার (১০ নভেম্বর) নিজ দপ্তরে দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাসকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে এই ঘোষণা দেন কারিগরি শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক (ডিজি) ড. মো. ওমর ফারুক।তিনি বলেন, তৃতীয় গণবিজ্ঞপ্তিতে সুপারিশপ্রাপ্ত শিক্ষকদের এমপিও দিতে কিছুটা বিলম্ব হচ্ছে। তবে এর জন্য অধিদপ্তর দায়ী নয়। কেননা শিক্ষকদের ৩২ ধরনের কাগজ জমা দিতে হয়। এই কাগজগুলো আমরা যাচাই করি। অনেক সময় যে কাগজ চাওয়া হয় সেগুলো পাওয়া যায় না। তখন শিক্ষকদের আবার কাগজপত্র জমা দিতে হয়।

মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক পর্যায়ের বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোতে বড় সংখ্যায় শিক্ষক নিয়োগের উদ্যোগ নিয়েছে বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন ও প্রত্যয়ন কর্তৃপক্ষ (এনটিআরসিএ)। এ সংক্রান্ত বিজ্ঞপ্তিটি ‘চতুর্থ গণনিয়োগ বিজ্ঞপ্তি’ নামে পরিচিত হবে। এ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের দাবিতে প্রতীকী অনশন করেছেন নিবন্ধনধারী প্রার্থীরা।বৃহস্পতিবার সকাল ১০টায় রাজধানীর ইস্কাটনে বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন ও প্রত্যয়ন কর্তৃপক্ষ (এনটিআরসিএ) কার্যালয়ের সামনে এ কর্মসূচি চলে। এতে কয়েক হাজার প্রার্থীরা অংশগ্রহণ করে।এরপর দুপুর ১২টায় এনটিআরসিএ সচিব মো. ওবায়েদুর রহমান গিয়ে অনশনকারীদের উদ্দেশে বলেন, চতুর্থ গণবিজ্ঞপ্তি নভেম্বর মাসের মধ্যেই প্রকাশ হবে। তিনি বলেন, আজকালের মধ্যে মাউশি থেকে একটা চিঠি পাবো। তারপর অফিসিয়াল কাজ করতে কয়েকদিন সময় লাগবে। এছাড়া প্রতিদিনই আমরা প্রতিনিধি মন্ত্রণালয়ে যাচ্ছি কাজের ফলাফল জানতে।

চলমান চারটি বিসিএসের নন-ক্যাডারে কোন বিসিএসের জন্য কত পদ বরাদ্দ, তা নির্দিষ্ট করে সরকারি কর্ম কমিশনে (পিএসসি) চিঠি পাঠিয়েছে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়। সবচেয়ে বেশি পদ বরাদ্দ এসেছে ৪০তম বিসিএসের নন-ক্যাডারের তালিকায় থাকা প্রার্থীদের জন্য। জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের নবনিয়োগ শাখার একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা প্রথম আলোকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছে। এদিকে পিএসসি থেকেও নিশ্চিত করা হয়েছে, তারা জনপ্রশাসনের শূন্য পদের তালিকা পেয়েছে।