প্রঃ বাংলা সাহিত্যের ইতিহাসে প্রধানত কয়টি যুগে ভাগ করা?
উঃ তিনটি। (প্রাচীন যুগ, মধ্যযুগ ও অধুনিক যুগ)
প্রঃ ড. মুহাম্মদ শহীদুল্লাহর মতে প্রাচীন যুগের পরিধি কত পর্যন্ত বিস্তৃত ছিল?
উঃ ৬৫০-১২০০ সাল পর্যন্ত।
প্রঃ মধ্য যুগের বাংলা ভাষার পরিধি কত সাল পর্যন্ত বিস্তৃত ছিল?
উঃ ১২০১-১৮০০ সাল পর্যন্ত।
প্রঃ আধুনিক বাংলা ভাষার পরিধি কত সাল থেকে শুরু হয়েছে?
উঃ ১৮০১ সাল থেকে।
(প্রস্তুতিপর্বঃ ১৮০০-১৮৬০, বিকাশপর্বঃ ১৮৬০-১৯০০, রবীন্দ্রপর্বঃ ১৯০০-১৯৩০, রবীন্দ্রোত্তরঃ ১৯৩০-১৯৪৭ ও বাংলাদেশঃ ১৯৪৭-)
প্রঃ বাংলা ভাষার উৎপত্তি কোন শতাব্দীতে?
উঃ সপ্তম শতাব্দী।
প্রঃ বাংলা গদ্যের ব্যাপক ব্যবহার শুরু হয় কখন থেকে?
উঃ আধুনিক যুগে।
প্রঃ ড. মুহাম্মদ শহীদুল্লাহর মতে খ্রীষ্টপূর্ব কত পর্যন্ত বাংলা ভাষার অস্তিত্ব ছিল?
উঃ পাঁচ হাজার বছর।
প্রঃ প্রঃ আর্য ভারতীয় গোষ্ঠীর প্রাচীনতম সাহিত্যেক ভাষার নাম কি?
উঃ বৈদিক ও সংস্কৃত ভাষা।
প্রঃ বাংলা ভাষার মূল উৎস কোন ভাষা?
উঃ বৈদিক ভাষা।
প্রঃ বৈদিক ভাষা থেকে বাংলা ভাষা পর্যন্ত বিবর্তনের প্রধান তিনটি ধারা কি কি?
উঃ প্রচীন ভারতীয় আর্য, মধ্য ভারতীয় আর্য ও নব্য ভারতীয় আর্য।
প্রঃ কোন ভাষা বৈদিক ভাষা নামে স্বীকৃত ?
উঃ আর্যগণ যে ভাষায় বেদ-সংহিতা রচনা করেছেন।
প্রঃ কোন ব্যাকরণবিদের কাছে সংস্কৃত ভাষা চূড়ান্তভাবে বিধিবদ্ধ হয়?
উঃ ব্যাকরণবিদ পানিনির হাতে।
প্রঃ সংস্কৃত ভাষা কত অব্দে চূড়ান্তভাবে বিধিবদ্ধ হয়?
উঃ খ্রিষ্টপূর্ব ৪০০ দিকে।
প্রঃ কোন ভাষাকে প্রাকৃত ভাষা বলে?
উঃ খ্রিষ্টপূর্ব ৮০০ খ্রীঃ দিকে বৈদিক ভাষা বির্বতনকালীণ সময়ে জনসাধারন যে ভাষায় নিত্য নতুন কথা বলত।
প্রঃ প্রাকৃত ভাষা বিবর্তিত হয়ে শেষ যে স্তরে উপনীত হয় তার নাম কি?
উঃ অপভ্রংশ।
প্রঃ সুনীত কুমার চট্টোপাধ্যায়ের মতে বাংলা ভাষার উদ্ভর কোন অপভ্রংশ থেকে কোন সময় কালে?
উঃ পূর্ব ভারতে প্রচলিত মাগবী অপভ্রংশ এবং খ্রিষ্টিয় দশম শতকের কাছাকাছি সময়ে বাংলা ভাষার উদ্ভব হয়।
প্রঃ ড. মুহাম্মদ শহীদুল্লাহর মতে বাংলা ভাষার উৎস কোন অপভ্রংশ থেকে?
উঃ গৌড় অপভ্রংশ থেকে।
প্রঃ পানিনি রচিত গ্রন্থের নাম কি?
উঃ ব্যাকরণ অষ্টাধয়ী।
প্রঃ পানিণি কোন ভাষার ব্যাকরণকে শৃঙ্খলাবদ্ধ করেন?
উঃ সংস্কৃত ভাষা।
প্রঃ বাংলা ভাষার মূল উৎস কোনটি?
উঃ বৈদিক।
প্রঃ বাংলা ভাষার আদি সাহিত্যিক নিদর্শন কি?
উঃ শ্রীকৃষ্ণকীর্তন কাব্য।
প্রঃ বাংলা ভাষা কোন আদি বা মূল ভাষা গোষ্ঠীর অর্ন্তগত?
উঃ ইন্দো-ইউরোপীয় ভাষা গোষ্ঠী।
প্রঃ বাংলা ভাষার উদ্ভব ঘটে কোন দশকে?
উঃ খ্রিষ্টিয় দশম শতকের কাছাকাছি সময়ে।
প্রঃ ভারতীয় আর্য ভাষার প্রাচীন রূপ কোথায় পাওয়া যায়?
উঃ প্রাচীন গ্রন্থ ঋগ্বেদের মন্ত্রগুলোতে।
প্রঃ কোন ভাষা থেকে বাংলা ভাষার উৎপত্তি?
উঃ মাগধী প্রাকৃত।
প্রঃ প্রাচীন ভারতীয় আর্য ভাষার স্তর কয়টি?
উঃ তিনটি।
প্রঃ বৈদিক ভাষা হতে বাংলা ভাষায় বিবর্তনের প্রধান ধারা কয়টি?
উঃ তিনটি।
প্রঃ বাংলা ভাষা কোন গোষ্ঠীর বংশধর?
উঃ হিন্দ-ইউরোপী গোষ্ঠীর।
প্রঃ বাংলা ভাষার সঙ্গে মিল খুঁজে পাওয়া যায় কোন ভাষার?
উঃ মুন্ডা ভাষার।
প্রঃ কোন লিপি থেকে বাংলা লিপির উদ্ভব ঘটেছে?
উঃ ব্রহ্মী লিপি।
প্রঃ ভারতীয় লিপিমালার প্রাচীনতম রূপ কয়টি ও কি কি?
উঃ দুইটি ক. খরোষ্ঠী, খ. বাহ্মী।
প্রঃ ভারতের মৌলিক লিপি কোন লিপিকে বলা বলে?
উঃ ব্রাহ্মী লিপি।
প্রঃ ব্রাহ্মী লিপির পূর্ববর্তী লিপি কোনটি?
উঃ খরোষ্ঠী লিপি।
প্রঃ ভারতীয় লিপিশালার প্রাচীনতম রূপ কোনটি?
উঃ দুইটি।
প্রঃ খ্রিষ্টপূর্ব ৩য় শতকে কোন শাসকের শাসনমালা ব্রাহ্মী লিপিতে উৎকীর্ন পাওয়া যায়?
উঃ সম্রাট অশোক।
প্রঃ বাংলা লিপি ও বর্ণমালার উদ্ভব হয়েছে কোন লিপি থেকে?
উঃ কুটিল লিপি।
প্রঃ ব্রাহ্মী লিপির পূর্ববর্তী লিপি কোনটি ?
উঃ খরোষ্ঠী লিপি।
প্রঃ কোন যুগে বাংলা লিপি ও অক্ষরের গঠনকার্য শুরু হয় ?
উঃ সেন যুগে।
প্রঃ কোন যুগে বাংলা লিপির গঠনকার্য স্থায়ীরূপ লাভ করে?
উঃ প্রাচীন যুগে।
প্রঃ বাংলার প্রথম মুদ্রন প্রতিষ্ঠানের নাম কি ?
উঃ শ্রীরামপুর মিশন।
প্রঃ কত সালে শ্রীরামপুর মিশন প্রতিষ্ঠিত হয় ?
উঃ ১৮০০ খ্রিষ্টাব্দে।
প্রঃ বাংলা ছাড়া ব্রাহ্মী লিপি থেকে আর কোন লিপির উদ্ভদ ঘটেছে?
উঃ সিংহলী, শ্যামী, নবদ্বীপি, তিব্বতী ইত্যাদি।
প্রঃ বাংলা অক্ষর বা বর্ণমালা কোন সময়ে একচ্ছত্র প্রভাব বিস্তার লাভ করে ?
উঃ খ্রিঃ দশম ও একাদশ শতাব্দীর মধ্যে।
প্রঃ ব্রাহ্মী লিপির বিবর্তনের ধারায় কোন বর্নমালা থেকে বাংলা বর্নমালার উৎপত্তি ?
উঃ পূর্ব ভারতীয় বর্ণমালা কুটিল থেকে।
প্রঃ কোন কোন লিপির উপর বাংলা লিপির প্রভাব বিদ্যমান ?
উঃ উড়িষ্যা মৈথিলি ও আসামী লিপির উপর।
প্রঃ বাংলা গদ্যের বিকাশে বলিষ্ঠ ভূমিকা পালন করে-?
উঃ সাময়ীক পত্র।
প্রঃ বাংলা সাহিত্যের প্রথম নিদর্শন কি?
উঃ চর্যাপদ।
প্রঃ চর্যাপদ রচনা করেন কারা ?
উঃ বৌদ্ধ সিদ্ধাচার্যগণ।
প্রঃ চর্যাপদ কোন যুগের নিদর্শন?
উঃ আদি/ প্রাচীন যুগ।
প্রঃ চর্যাপদের পুঁথিকে কোথা কে এবং কখন আবিস্কার করেন?
উঃ মহামহোপাধ্যায় হরপ্রসাদ শাস্ত্রী ১৯০৭।
প্রঃ চর্যাপদের রচনা কাল কত?
উঃ সপ্তম -দ্বাদশ শতাব্দী।
প্রঃ চর্যাপদ কোন ভাষায় রচিত হয়?
উঃ বঙ্গকামরুপী ভাষায়।
প্রঃ চর্যাপদ কোথায় পাওয়া যায়?
উঃ নেপালের রাজ দরবারের গ্রন্থাগারে।
প্রঃ টীকাকার মুনিদত্তের মতানুসারে চর্যাপদের নাম কি ?
উঃ আশ্চর্য চর্যাচয়।
প্রঃ নেপালে প্রাপ্ত পুঁথিতে পদগুলির কি নাম দেযা হয়েছে ?
উঃ চর্যাচর্য বিনিশ্চয়।
প্রঃ চর্যাপদের ভাষাকে কে বাংলা ভাষা দাবি করেছেন?
উঃ অধ্যাপক সুনীতি কুমার চট্টোপাধ্যয়।
প্রঃ আধুনিকের পন্ডিতগণের মতে, নেপালে প্রাপ্ত চর্যাপদের পুঁথির নাম কি ?
উঃ চর্যাগীতি কোষ।
প্রঃ চর্যার প্রাপ্ত কোন সংখ্যক পদটি টীকাকার কর্তৃক ব্যাখ্যা হয় নি ?
উঃ ১১ সংখ্যক পদ।
প্রঃ চর্যার প্রাপ্ত পুঁথিতে কোন কোন সংখ্যক পদে সম্পূর্ন পাওয়া যায় নি ?
উঃ ২৪, ২৫, ৪৮ সংখ্যক পদ।
প্রঃ চর্যার প্রাপ্ত কোন পদটির শেষাংশে পাওয়া যায় নি ?
উঃ ২৩ সংখ্যক পদ।
প্রঃ চর্যাগীতিকা হরপ্রসাদ শাস্ত্রী কর্তৃক কবে প্রকাশিত হয়েছিল ?
উঃ ১৯১৬ সালে।
প্রঃ চর্যা সংগ্রহটিতে সর্বসমেত কয়টি চর্যাগীতি ছিল?
উঃ ৫১ টি।
প্রঃ সর্বসমেত কয়টি চর্যাগীতি পাওয়া গিয়েছে?
উঃ সাড়ে ছেচল্লিশটি।
প্রঃ সবচেয়ে বেশী পদ কে রচনা করেছেন ?
উঃ কাহ্নপা-১৩ টি।
প্রঃ চর্যাপদের রচয়িতা কে বা কারা ?
উঃ কাহ্নপা, লুইপা, কুক্কুরীপা, ভুসুকু, সরহপাদ সহ মোট ২৪ জন।
প্রঃ চর্যাপদ কোন সময়ে রচিত হয় ?
উঃ সপ্তম থেকে দ্বাদশ শতাব্দীর মধ্যবর্তী সময়ে।
প্রঃ চর্যাপদের পদগুলো কোন কোন ভাষায় রচিত বলে দাবি করা হয়?
উঃ বাংলা, হিন্দী, মৈথিলী, অসমীয় ও উড়িয়া ভাষায়।
প্রঃ চর্যাপদের তিব্বতী অনুবাদ কে আবিস্কার করেন?
উঃ ডঃ প্রবোধচন্দ্র বাগচী।
প্রঃ চর্যাপদের ভাষায় কোন অঞ্চলের নমুনা পরিলক্ষিত হয়?
উঃ পশ্চিম বাংলার প্রাচীনতম কথ্য ভাষার।
প্রঃ ডঃ সুনীতি কুমার চট্টোপাধ্যয় কবে চর্যাপদে ভাষা বাংলা বলে প্রমান করেন?
উঃ ১৯২৬ সালে।
প্রঃ চর্যাপদের প্রতিপাদ্য বিষয় কি?
উঃ চর্যাপদের মূল প্রতিপাদ্য বিষয় বৌদ্ধ সহজিয়া সিদ্ধাদের গুহ্য সাধনতত্ত্ব এবং তৎকালীন সমাজ ও জীবনের পরিচয়।
প্রঃ চর্যাপদ কোন ছন্দে রচিত ?
উঃ মাত্রাবৃত্তে ছন্দে।
প্রঃ চর্যাপদের পুঁথি নেপালে যাবার কারন কি?
উঃ তুর্কী আক্রমনকারীদের ভয়ে পন্ডিতগণ তাদের পুুথি নিয়ে নেপালে পালিয়ে গিয়ে শরনার্থী হয়েছিলেন।
প্রঃ কীর্তিলতা পুরুষ পরীক্ষা বিভাগসার প্রভৃতি সাহিত্যকর্মের রচয়িতা কে?
উঃ মিথিলার কবি বিদ্যাপতি।
প্রঃ কবীন্দ্রবচন সমুচ্চয় ও সদুক্তি কর্ণামৃত কাব্য কোন যুগে রচিত?
উঃ সেনযুগে।
প্রঃ রাজা লক্ষন সেনের রাজসভার পঞ্চরত্ন কে কে ছিলেন?
উঃ উমাপতিধর, শরণ, ধোয়ী, গোবর্ধন আচার্য ও জয়দেব।
প্রঃ বাংলা ছাড়া কোন কোন বাব্যগ্রন্থে বাঙালী জীবনের চিত্র রয়েছে?
উঃ গাথা সপ্তপদী ও প্রাকৃত পৈঙ্গলের।
প্রঃ গীত গোবিন্দ কাব্যগ্রন্থের রচয়িতার নাম কি ?
উঃ জয়দেব।
প্রঃ ব্রজবুলী ভাষার উদ্ভব কখন হয়?
উঃ কবি বিদ্যাপতি যখন মৈথিল ভাষায় রাধাকৃষ্ণ লীলার গীতসমূহ রচনা করেন।
প্রঃ ব্রজবুলি ভাষা কোন জাতীয় ভাষা?
উঃ মৈথলী এবং বাংলা ভাষার মিশ্রনে যে ভাষার সৃষ্টি হয়।
প্রঃ ব্রজবুলি কোন স্থানের উপভাষা ?
উঃ মিথিলার উপভাষা্।
প্রঃ ব্রজবুলি ভাষার বিখ্যাত সাহিত্যিকের/শ্রেষ্ঠ কবি নাম কি?
উঃ বিদ্যাপতি এবং জয়দেব।
প্রঃ চন্ডীদাস সমস্যা কি?
উঃ বাংলা সাহিত্য একাধিক পদকর্তা নিজেকে চন্ডীদাস পরিচয় দিয়ে যে সমস্যা সৃষ্টি করেছেন তাই চন্ডীদাস সমস্যা ।
প্রঃ বাংলা সাহিত্যে স্বীকৃত চন্ডীদাস কয়জন?
উঃ তিনজন। বড়ু চণ্ডীদাস, দীন চণ্ডীদাস, এবং দ্বীজ চণ্ডীদাস।
প্রঃ বাংলা সাহিত্যের মধ্যযুগের প্রথম নির্দশন কি?
উঃ শ্রীকৃষ্ণ কীর্তন।
প্রঃ শ্রীকৃষ্ণ কীর্তনকাব্য কে রচনা করেন?
উঃ বড়ু চন্ডীদাস।
প্রঃ শ্রীকৃষ্ণ কীর্তন কাব্য কোন যুগের নিদর্শন?
উঃ চৈতন্যপূর্ব যুগ।
প্রঃ বড়ু চন্ডীদাসের শ্রীকৃষ্ণ কীর্তন কাব্য কে উদ্ধার করেন?
উঃ বসন্তরঞ্জন রায়, ১৯০৯।
প্রঃ শ্রীকৃষ্ণ কীর্তন কাব্য কোথা থেকে উদ্ধার করা হয়?
উঃ পশ্চিম বঙ্গের বাকুড়া জেলার কাকিলা গ্রামের এক গৃহস্থ বাড়ীর গোয়ালঘর থেকে উদ্ধার করেন।
প্রঃ বৈষ্ণব পদাবলীর আদি রচয়িতা কে?
উঃ বড়ু চণ্ডীদাস।
প্রঃ আদি যুগে লোকজীবনের কথা বিধৃত সর্বপ্রথম সাহিত্যক নিদর্শন কোনটি?
উঃ ডাক খনার বচন।