বিশিষ্ট লেখকের পঙক্তি ও উদ্ধৃতি যা বিভিন্ন প্রতিযোগীতামূলক পরীক্ষায় আসতে পারে। এক নজরে জেনে নিনি গুরুত্বপূর্ণ পঙক্তি ও উদ্ধৃতি
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর
- “সাত কোটি সন্তানের হে মুগ্ধ জননী, রেখেছ বাঙালী করে মানুষ করনি”
- “ বিপদে মোরে রক্ষা কর এ নহে মোর প্রার্থনা বিপদে আমি না যেন করি ভয়”
- “আজি হতে শত বর্ষে পরে কে তুমি পড়িছ, বসি আমার কবিতাটিখানি কৌতূহল ভরে”
- “সংসারেতে ঘটিলে ক্ষতি লভিলে শুধু বঞ্চনা নিজের মনে না যেন মানি ক্ষয়”
- “ঠাঁই নাই, ঠাঁই নাই, ছোটো এ তরী, আমারী সোনার ধানে গিয়েছে ভরি"
আশরাফ ছিদ্দিকী
“তাল সোনাপুরের তালেব মাস্টার আমি, আজ থেকে আরম্ভ করে চল্লিশ বছর দিবসযামী”
চন্ডিদাস
“সই, কেমনে ধরিব হিয়া আমার বধুয়া আন বাড়ি যায় আমার আঙিনা দিয়া”
জ্ঞানদাস
“রূপলাগি অখিঁ ঝুরে মন ভোর প্রতি অঙ্গ লাগি কান্দে প্রতি অঙ্গ মোর”
কবি সৈয়দ এমদাদ আলী
“কুহেলী ভেদিয়া জড়তা টুটিয়া এসেছে বসন্তরাজ”
মুকুন্দরাম
“অভাগা যদ্যপি চায় সাগর শুকায়ে যায়”
মধুসূদন দত্ত
“হে বঙ্গ, ভান্ডারে তব বিবিধ রতন তা সবে, (অবোধ আমি) অবহেলা করি, পর ধন লোভে মত্ত করিনু ভ্রমন”
অন্নদামঙ্গল কাব্যের
“আমার সন্তান যেন থাকে দুধে ভাতে”
জীবনানন্দ দাশ
- “আবার আসিব ফিরে ধানসিঁড়িটির তীরে এই বাংলায় হয়তো মানুষ নয় হয়তো বা শঙ্খচিল শালিকের বেশে”
- “হাজার বছর ধরে আমি পথ হাঁটিতেছে পৃথিবীর পথে সিংহল সমুদ্র থেকে নিশীদের অন্ধকারে মালয় সাগরে”
- “সব পাখি ঘরে আসে সব নদী ফুরায় এ জীবনের সব লেন দেন; থাকে শুধু অন্ধকার”
- “আমি যদি হতাম বনহংস বনহংসী হতে যদি তুমি”
- “শোনা গেল লাশ কাটা ঘরে নিয়ে গেছে তারে; কাল রাতে ফাণ্ডুন রাতের চাঁদ মরিবার হলো তার সাধ”
- “বাংলার মুখ আমি দেখিয়াছি, তাই আমি পৃথিবীর রূপ দেখিতে চাই না আর”
- “সুরঞ্জনা, ঐখানে যেয়ো না তুমি বোলো নাকো কথা ওই যুবকের সাথে”
কৃষ্ণচন্দ্র মজুমদার
“যে জন দিবসে মনের হরষে জালায় মোমের বাতি”
মদনমোহন তর্কালঙ্কারের
“পাখি সব করে রব রাতি পোহাইল”
রঙ্গলাল মুখপাধ্যায়
“স্বাধীনতা হীনতায় কে বাঁচিতে চায় হে”
কৃষ্ণচন্দ্র মজুমদার
“চিরসুখী জন ভ্রমে কি কখন ব্যথিত বেদন বুঝিতে পারে?”
ফজলূল করিম
“কোথায় স্বর্গ কোথায় নরক”
নির্মলেন্দু গুন
“যুদ্ধ মানে শত্রু শত্রু খেলা, যুদ্ধ মানেই আমার প্রতি তোমার অবহেলা”
সত্যেন্দ্রনাথ দত্ত
“আমার দেশের পথের ধুলা খাটি সোনার চাইতে খাঁটি”
শামসুর রাহমান।
“আসাদের শার্ট আজ আমাদের প্রানের পতাকা”
কাজী নজরুল ইসলাম
- “রক্ত ঝরাতে পারি না তো একা, তাই লিখে যাই এ রক্ত লেখা”
- “আজি হতে শত বর্ষে আগে, কে কবি, স্মরণ তুমি করেছিলে আমাদের শত অনুরাগে”
যতীন্দ্রমোহন বাগচী
“বাঁশ বাগানের মাথার উপর চাঁদ উঠেছে ঐ”
ভারতচন্দ্রের
“মন্ত্রের সাধন কিংবা শরীর পাতন”
শেখ ফজলূল করিম
“প্রীতি ও প্রেমের পূন্য বাধনে যবে মিলি পরস্পরে, স্বর্গে আসিয়া দাঁড়ায় তখন আমাদেরি কুঁড়ে ঘরে।“
'কোথায় স্বর্গ কোথায় নরক কে বলে তা বহুদূর'
সুফিয়া কামাল
“জন্মেছি মাগো তোমার কোলেতে মরি যেন এই দেশে”
রজনীকান্ত সেন
“আমি থাকি মহাসুখে অট্টালিকা পরে তুমি কত কষ্ট পাও রোদ, বৃষ্টি, ঝড়ে”
হেমচন্দ্র বন্দ্যোপাধ্যায়
“মহাজ্ঞানী মহাজন, যে পথে করে গমন হয়েছেন প্রাতঃস্মরনীয়”
কামিনী রায়
“সকলের তরে সকলে আমরা প্রত্যেকে মোরা পরের তরে”
সুকান্ত ভট্টাচার্য
- “কত গ্রাম কত পথ যায় সরে সরে, শহরে রানার যাবেই পৌঁছে ভোরে”
- “ক্ষুধার রাজ্য পৃথিবী গদ্যময় পূর্ণিমার চাঁদ যেন ঝলসানো রুটি”
- “হে সূর্য! শীতের সূর্য! হিমশীতল সুদীর্ঘ রাত তোমার প্রতীক্ষায় আমরা থাকি,”
- “অবাক পৃথিবী অবাক করলে তুমি, জন্মেই দেখি ক্ষদ্ধ স্বদেশ ভূমি”
- “রানার ছুটেছে তাই ঝুমঝুম ঘন্টা রাজছে রাতে রানার চলেছে খবরের বোঝা হাতে”
- “হিমালয় থেকে সুন্দরবন, হঠাৎ বাংলাদেশ কেঁপে কেঁপে ওঠে পদ্মার উচ্ছাসে”
- “যে শিশু ভুমিষ্ঠ হল আজ রাত্রে তার মুখে খবর পেলুমঃ সে পেয়েছে ছাড়পত্র এক,”
- “হে মহা জীবন, আর এ কাব্য নয়, এবার কঠিন, কঠোর গদ্য আনো”
সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়
“কেউ কথা রাখেনি, তেত্রিশ বছর কাটলো, কেউ কথা রাখে নি”
সমর সেন
“মহা নগরীতে এল বিবর্ন দিন, তারপর আলকাতরার মত রাত্রী”
আবু জাফর ওবায়দুল্লাহ
“আমি কিংবদন্তীর কথা বলছি, আমি আমার পূর্ব পুরুষের কথা বলছি”
হেলাল হাফিজ
“এখন যৌবন যার মিছিলে যাবার সময় তার শ্রেষ্ঠ সময় এখন যৌবন যার যুদ্ধে যাবার তার শ্রেষ্ঠ সময়”
শহীদ কাদরী
“জন্মেই কুঁকড়ে গেছি মাতৃজরায়ন থেকে নেমে, সোনালী পিচ্ছিল পেট আমাকে উগড়ে দিলো যেন”
দাউদ হায়দার
“জন্মই আমার আজন্ম পাপ, মাতৃজরায়ু থেকে নেমেই জেনেছি আমি”
অতুল প্রসাদ সেন
“মোদের গরব মোদের আশা, আ মরি বাংলা ভাষা"
আলাউদ্দিন আল আজাদ
“স্মৃতির মিনার ভেঙ্গেছে তোমার? ভয়কি কি বন্ধু, আমরা এখন”
রুদ্র মোঃ শহীদুল্লাহ
“আজো আমি বাতাসে লাশের গন্ধ পাই, আজো আমি মাটিতে মৃত্যুর নগ্ননৃত্য দেখি,”
মধুসূদন দত্ত
“বহু দেশ দেখিয়াছি বহু নদ-নলে কিন্তু এ ্লেহের তৃঞ্চা মিটে কার জলে?”
আবু হেনা মোস্তাফা কামাল
“আপনাদের সবার জন্য এই উদার আমন্ত্রন ছবির মতো এই দেশে একবার বেড়িয়ে যান”
'কোথায় স্বর্গ কোথায় নরক কে বলে তা বহুদূর' - এই অমর পঙক্তির রচয়িতাঃ শেখ ফজলল করিম রচিত
শামসুর রাহমান
তুমি আসবে বলে হে স্বাধীনতা সকিনা বিবির কপালে ভাঙলো, সিথির সিদুঁর মুছে গেল হরিদাসীর”
সিকান্দার আবু জাফর
“জনতার সংগ্রাম চলবেই, আমাদের সংগ্রাম চলবেই। হতমানে অপমানে নয়, সুখ সম্মানে”
জসীমউদ্দীন
- “ওই দূর বনে সন্ধ্যা নামিছে ঘন আবীরের রাগে অমনি করিয়া লুটায়ে পড়িতে বড় সাধ আজ জাগে”
- “আমার এ ঘর ভাঙিয়াছে যেবা, আমি বাঁধি তার ঘর, আপন করিতে কাঁদিয়া বেড়াই যে মোরে করেছে পর”
----------------------------------------------
আমার এ ঘর ভাঙিয়াছে যেবা। আমি বাঁধি তার ঘর।
আপন করিতে কাঁদিয়া বেড়াই যে মােরে করেছে পর।
আমার এ ঘর ভাঙিয়াছে যেবা আমি বাঁধি তার ঘর এ পঙক্তিতে কী বোঝানো হয়েছে---
ধরণিতে যারা ধৈর্যশীল ও মহৎ তারা শত্রুর অনিষ্ট চিন্তা থেকে নিজেকে সর্বদা বিরত রাখে। নিজের কষ্টকে গুরুত্ব দেয় না। যে কষ্ট দেয় তাকেও আপন করে নেয়।